sheikh hasina

মোদী-হাসিনার বৈঠকে সাতটি মউ স্বাক্ষর, রেল, জলবন্টন, মহাকাশ নিয়ে ঢাকাকে সহযোগিতার বার্তা দিল্লির

মঙ্গলবার ছিল ভারত সফরে হাসিনার দ্বিতীয় দিন। সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে যান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। দিল্লির রাইসিনা হিলসে তাঁকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৩:৩৯
Share:

যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে হাসিনা এবং মোদী। মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে।

রেল, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, বিচার ব্যবস্থা-সহ নিয়ে মোট সাতটি মউ স্বাক্ষর হল ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে। মঙ্গলবার হায়দরাবাদ হাউসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর একটি যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে এই ঘোষণা করলেন দু’দেশের রাষ্ট্রনেতা।

Advertisement

বাংলাদেশকে ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন-সঙ্গী এবং বাণিজ্যিক অংশীদার বলে উল্লেখ করে মোদী বলেন, ‘‘দু’দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক প্রতি দিন উন্নত হচ্ছে।’’ এর পরই বাংলাদেশকে ভারত কোন কোন বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে, তার ঘোষণা করেন মোদী।দুই রাষ্ট্রনায়কের সই করা সাতটি চুক্তির মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের নদী কুশিয়ারার জলবণ্টন নিয়ে চুক্তিটি। এ ব্যাপারে ‘একটি জরুরি মউ স্বাক্ষর হয়েছে’ বলে ঘোষণা করেন মোদী। তিনি বলেন, ‘‘আমরা ঠিক করেছি, তথ্যপ্রযুক্তি, মহাকাশ গবেষণা এবং পরমাণু গবেষণার ক্ষেত্রে দু’দেশ পরস্পরের সঙ্গে সহযোগিতা করে চলব।’’

মঙ্গলবার যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন হাসিনা, তা আগেই জানানো হয়েছিল। হায়দরাবাদ হাউসে বৈঠক হয় দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীর। তার আগেই রাষ্ট্রপতি ভবনে দাঁড়িয়ে বন্ধুত্বের বার্তা দিয়েছিলেন হাসিনা। মনে করিয়ে দিয়েছিলেন, ‘‘বন্ধুত্বের মাধ্যমে যে কোনও সমস্যার সমাধান সম্ভব।’’ ভারত এবং বাংলাদেশের সামনে এই মুহূর্তে বেশ কয়েকটি সমস্যা রয়েছে। গরু পাচার, তিস্তা জলবণ্টন-সহ রোহিঙ্গা সমস্যার মতো একাধিক বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। হাসিনা অবশ্য বলেছেন, ‘‘দারিদ্রই আমাদের মূল সমস্যা। অর্থনৈতিক ভাবে আমরা ভারতের সঙ্গে একসঙ্গে এগিয়ে যেতে চাই।’’বৈঠকের পরও ভারতকে বাংলাদেশের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়ানোর জন্য ধন্যবাদ দেন হাসিনা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement