Sheikh Hassina

ভারত সফরে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা হল না, আফসোস শেখ হাসিনার

ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে সুসম্পর্ক আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে শুরু হল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর চার দিনের ভারত সফর। সোমবার দুপুরে দিল্লিতে পৌঁছন শেখ হাসিনা।

Advertisement

অগ্নি রায়

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৬:৩৬
Share:

সোমবার দুপুরে দিল্লিতে পৌঁছন শেখ হাসিনা। পিটিআই

সোমবার দিল্লিতে নৈশভোজে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে উঠল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গও। শেখ হাসিনা বললেন, “মমতা আমার বোনের মতো। ভেবেছিলাম দিল্লি এলে দেখা হবে। কোনও কারণে এ বার সেটা হল না। তবে তাঁর সাথে তো যে কোনও সময়েই আমার দেখা হতে পারে!” দিল্লিতে দেখা করার আশা জানিয়ে এর আগে মমতাকে চি‌ঠিও দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে ওই চিঠিতে তিনি পদ্মা সেতু দেখার আমন্ত্রণও জানিয়েছেন। মমতার সঙ্গে আলোচনায় বসাটা বাংলাদেশের আসন্ন ভোটে আওয়ামী লীগের পক্ষে ইতিবাচক প্রভাব ফেলত বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে সুসম্পর্ক আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সোমবার থেকে শুরু হল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর চার দিনের ভারত সফর। আজ দুপুরে দিল্লিতে পৌঁছন শেখ হাসিনা। সন্ধ্যায় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন। রাতে চাণক্যপুরীর বাংলাদেশ ভবনে তাঁর দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে কথা বলেন হাসিনা। আগামী কাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর বৈঠকের পাশাপাশি দু’দেশের শীর্ষ প্রতিনিধি দলের বৈঠক এবং প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য, জলসম্পদ, যোগাযোগ-সহ বিভিন্ন বিষয়ে একাধিক চুক্তিপত্র সই হবে কাল। তিস্তার জলবণ্টন নিয়ে অগ্রগতি না হলেও হাসিনা এ দিন জানান, তিনি আশাবাদী। দুই দেশই যে এটা চায়, এ নিয়ে সংশয় নেই। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দুই দেশের সরকার চাইলে কী হতে পারে স্থলসীমান্ত চুক্তি তার প্রমাণ। অন্য দেশ যখন সীমান্ত নিয়ে যুদ্ধ করে, সুন্দর ভাবে সীমান্ত সমস্যা মিটিয়ে ফেলেছি আমরা।”

নৈশভোজে এ দিন বেশ হাসিখুশি ছিলেন শেখ হাসিনা। জানালেন, ইলিশ রফতানির ছাড়পত্র দিয়েই তিনি দিল্লি সফরে এসেছ‌েন। পুজোর সময়ে এ দেশের মানুষকে এটা তাঁর উপহার। নানা সূচকে বাংলাদেশের অর্থনীতি এগিয়ে চলেছে। কোভিডের সময়েও যে কয়েকটি হাতে গোনা দেশের রফতানি আয় থিতু ছিল, বাংলাদেশ তার অন্যতম। কিন্তু রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বোঝা বাংলাদেশের মাথায় চেপে বসছে। হাসিনা বলেন, “এগারো লক্ষ শরণার্থী। ভারত বড় দেশ। রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে পাঠানোর বিষয়ে ভারত তৎপর হোক, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।”

Advertisement

কৃষিপ্রধান দেশ বাংলাদেশের চাষবাসে ভরসা নদীর জলই। নদী নিয়ে উদ্বেগ হাসিনার কথাতেও উঠে এসেছে। তিনি জানান, নিম্ন অববাহিকায় থাকার কারণে পলি জমে নদীতে। নাব্যতা কমে যায়। সে জন্য পলি সরাতে সমস্ত নদী ড্রেজ়িং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। তিস্তাও ড্রেজ়িং করা হবে। হাসিনা বলেন, “ড্রেজ়িং ছাড়া উপায় নেই। ভূগর্ভের জল নয়, নদীর জলেই আমাদের কৃষিকাজ চলে। এখন ভারত যদি এ জন্য ঋণসাহায্য দেয়, ভাল!”

হাসিনা জানান, তিস্তার জলবণ্টন নিয়ে তিনি আশাবাদী। দুই দেশই যে এটা চায়, এ নিয়ে সংশয় নেই। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দুই দেশের সরকার চাইলে কী হতে পারে স্থলসীমান্ত চুক্তি তার প্রমাণ। অন্য দেশ যখন সীমান্ত নিয়ে যুদ্ধ করে, সুন্দর ভাবে সীমান্ত সমস্যা মিটিয়ে ফেলেছি আমরা।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement