রাষ্ট্রপতি ভবনে শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানালেন নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।
ভারতে এসে তাঁর প্রথম বক্তৃতায় শেখ হাসিনা বললেন, ভারত বাংলাদেশের বন্ধু। তিনি আশা করছেন, ভারতে তাঁর সফর এবং আলোচনা দু’দেশের জন্যই সুফল ফলাবে।
মঙ্গলবার ছিল ভারত সফরে হাসিনার দ্বিতীয় দিন। সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে যান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। দিল্লির রাইসিনা হিলসে তাঁকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাষ্ট্রপতি ভবনে রেওয়াজ মেনে সাড়ম্বর অভ্যর্থনা জানানো হয় প্রতিবেশী দেশের প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে। তার পর রাইসিনা হিলস চত্বরেই দাঁড়িয়ে তাঁর এ বারের ভারত সফরের প্রথম বক্তৃতা করেন হাসিনা।
রাষ্ট্রপতি ভবন চত্বরে বঙ্গবন্ধু-কন্যা বলেন, ‘‘ভারত আমাদের বন্ধু। আমি যখনই ভারতে আসি, আমার দারুণ লাগে। তার কারণ এখানে এলেই আমার মনে পড়ে যায় আমাদের দেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ভূমিকার কথা। আমাদের মধ্যে বরাবর একটা বন্ধুত্বের সম্পর্ক আছে। আমরা পারস্পরিক সহযোগিতার মধ্যে দিয়ে চলি।’’
মঙ্গলবারই ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা হাসিনার। তার আগেই রাষ্ট্রপতি ভবনে দাঁড়িয়ে বন্ধুত্বের বার্তা দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘‘বন্ধুত্বের মাধ্যমে যে কোনও সমস্যার সমাধান সম্ভব।’’ ভারত এবং বাংলাদেশের সামনে এই মুহূর্তে বেশ কয়েকটি সমস্যা রয়েছে। গরু পাচার, তিস্তা জলবণ্টন-সহ রোহিঙ্গা সমস্যার মতো একাধিক বিষয়ের আলোচনা হতে পারে। হাসিনা অবশ্য বলেছেন, ‘‘দারিদ্রই আমাদের মূল সমস্যা। অর্থনৈতিক ভাবে আমরা ভারতের সঙ্গে একসঙ্গে এগিয়ে যেতে চাই।’’
সোমবার চার দিনের সফরে ভারতে এসে পৌঁছেছেন শেখ হাসিনা। দিল্লিতে এসে তিনি সুফি নিজামউদ্দিনের দরগায় যান। এর আগেও হাসিনা যতবার ভারতে এসেছেন, ওই দরগায় গিয়েছেন। তাঁর বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও বহুবার এই দরগায় এসেছেন। পরে মঙ্গলবার রাইসিনা হিলস থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যান রাজঘাটে। সে খানে মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতি ক্ষেত্রে শ্রদ্ধার্ঘ্যও জানান হাসিনা।