ট্রেন দেরিতে চলছে। ভারতের যে কোনও প্রান্তে গেলেই এ কথা শোনা যায়। তা সে লোকাল ট্রেনই হোক বা দূরপাল্লার ট্রেন। আর শীতকাল এলে তো কথাই নেই। দূরপাল্লার ট্রেনের দেরি হওয়ার সময়সীমা ৪ বা ৫ ঘণ্টা থেকে ১৪ কিংবা ১৫ ঘণ্টাও দেরি হয়। ভারতের ট্রেন যাত্রীদের কাছে ‘ট্রেন লেট’-এর বিষয়টি খুব একটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
ট্রেন দেরি হলে কোথাও যাত্রী বিক্ষোভ হয়, কোথাও আবার স্টেশনে স্টেশনে ঘোষণা করে যাত্রীদের কাছে এই অসুবিধার জন্য দুঃখপ্রকাশ করা হয়। এটাও ট্রেন যাত্রীদের কাছে স্বাভাবিক একটি দৃশ্য। কিন্তু এই সব সাধারণ বিষয়ের মধ্যে অসাধারণ কিছু হলে তা নজর কাড়ার মতো বিষয় হয় বটে। তেমনই ট্রেন সংক্রান্ত একটি ঘটনা সমাজমাধ্যমে শেয়ার হতেই জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।
সম্প্রতি একটু ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে একটি স্টেশনে যাত্রীদের ভিড়। ট্রেনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। ট্রেন যে দিক থেকে আসার কথা প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে সে দিকেই উঁকিঝুঁকি মারতে দেখা গেল বেশ কিছু যাত্রীকে। কিছু ক্ষণ পরেই দূরে একটা আলোর বিন্দু ফুটে উঠল। যাত্রীদের মধ্যে নড়াচড়া দেখে বোঝা গেল, যার জন্য অপেক্ষা করছিলেন তাঁরা, অবশেষে তার দেখা পাওয়া গিয়েছে। ক্রমে সেই আলোর বিন্দু আরও কাছে এগিয়ে এল। এ বার স্পষ্ট হল ট্রেনের ইঞ্জিন। ট্রেনটি প্ল্যাটফর্মে ঢুকতেই এক দল যাত্রী উল্লাসে ফেটে পড়লেন। হাততালি দিয়ে, নেচে ট্রেনটিকে স্বাগত জানালেন। না, কোনও নতুন ট্রেন নয়। উদ্বোধনেরও বিষয় নয়। আসল কথা হল, ট্রেনটি যে সময়ে আসার কথা ছিল, সেই নির্ধারিত সময় পেরিয়ে ৯ ঘণ্টা দেরিতে ট্রেনটি ঢুকেছিল। আর সেই দেরি হওয়াটাকেই যাত্রীরা উদ্যাপন করলেন। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
রবিবার হার্দিক বোন্টু নামে এক টুইটার গ্রাহক ভিডিয়োটি শেয়ার করেন। ক্যাপশনে লেখেন, “আমাদের ট্রেন ৯ ঘণ্টা দেরিতে পৌঁছল। দেখুন কী ভাবে যাত্রীরা উল্লাসে মেতেছেন।”