(বাঁ দিক থেকে) ওমর এবং ফারুক আবদুল্লা। —ফাইল চিত্র।
জম্মু ও কাশ্মীরের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ন্যাশনাল কনফারেন্সকে নেতৃত্ব দেবেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা। শুক্রবার নির্বাচন কমিশন জম্মু ও কাশ্মীরের ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের পর তিনি নিজেই এই ঘোষণা করেছেন। তাঁর পুত্র ওমর আবদুল্লা বিধানসভা ভোটে লড়তেও চান না বলে জানিয়েছেন পিতা ফারুক।
ফারুক তাঁর পুত্র ওমরের হাতে বিধানসভা ভোটে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব দিতে পারেন বলে জল্পনা ছিল। কিন্তু ফারুক বলেন, ‘‘জম্মু ও কাশ্মীরের পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা পুনরুদ্ধার না করা পর্যন্ত ওমর নিজেকে দলীয় দায়িত্ব থেকে দূরে সরিয়ে রাখা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভোটে না লড়ারও ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।’’সেই সঙ্গে তিনি আশা প্রকাশ করেন, বিধানসভা ভোটের পরে জম্মু ও কাশ্মীর পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাবে।
দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার শুক্রবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে জম্মু ও কাশ্মীর এবং হরিয়ানার বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেন। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট হবে তিন দফায়— ১৮ সেপ্টেম্বর, ২৫ সেপ্টেম্বর এবং ১ অক্টোবর। হরিয়ানায় এক দফায়— ১ অক্টোবর। দু’টি বিধানসভা ভোটেরই একসঙ্গে গণনা হবে ৪ অক্টোবর। প্রসঙ্গত, জম্মু ও কাশ্মীর এবং হরিয়ানা, দুই বিধানসভাতেই রয়েছে ৯০টি করে আসন।
২০১৪ সালের পরে আবার জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট হতে চলেছে। এর মধ্যে অবশ্য পূর্ণ রাজ্য থেকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর। নরেন্দ্র মোদী সরকার ২০১৯ সালের ৫ অগস্ট কেন্দ্র সংবিধানের ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপ করেছিল। সাবেক জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যকে দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখে ভাগ করা হয়েছিল। তার তিন বছর আগেই অবশ্য রাজনৈতিক অচলাবস্থার কারণে ভেঙে দেওয়া হয়েছিল বিধানসভা।
২০২৩ সালের ১১ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ কেন্দ্র এবং কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছিল, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট করাতে হবে। তার পরেই সেখানে ভোট করানোর তৎপরতা শুরু হয়। লোকসভা ভোটের সঙ্গেই বিধানসভা ভোটের জল্পনা থাকলেও ‘নিরাপত্তা কারণে’ তা হয়নি। এ বারের লোকসভা ভোটে বারামুলা কেন্দ্রে নির্দল প্রার্থী শেখ এর রশিদের কাছে ২ লক্ষেরও বেশি ভোটে পরাজিত হয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি)-এর নেতা ওমর।