দিল্লিতে কমিশনের সাংবাদিক বৈঠক। — ফাইল চিত্র।
এক যাত্রায় পৃথক ফল হল মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানায়। ২০১৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক বৈঠকে তৎকালীন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা একই সঙ্গে ওই দুই রাজ্যের বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছিলেন। ২১ অক্টোবর একই সঙ্গে এক দফায় দু’রাজ্যের বিধানসভা ভোট হয়েছিল। কিন্তু এ বার জম্মু ও কাশ্মীরের সঙ্গে হরিয়ানায় বিধানসভা ভোট হলেও বাদ পড়ল মহারাষ্ট্র।
শুধু গত বার নয়, গত দেড় দশক ধরে মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানায় একই সঙ্গে বিধানসভা ভোট হচ্ছে। এ বার তার ব্যতিক্রম হল। সেই সঙ্গে জল্পনা থাকলেও এই দফায় হচ্ছে না বাংলার প্রতিবেশী ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা ভোটও। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ওই রাজ্য বিধানসভা ভোট হয়েছিল। মুখ্য নির্বাচন কমিশনায় রাজীব কুমার কমিশনের এই সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যাও দিয়েছেন শুক্রবারের সাংবাদিক বৈঠকে। তিনি বলেন, ‘‘মহারাষ্ট্রে এ বার প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। সেখানে বেশ কয়েকটি উৎসবও রয়েছে তাই এই সিদ্ধান্ত।’’
যদিও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারণা, চার মাস আগে লোকসভা ভোটে মহারাষ্ট্রে বিরোধী জোট ‘মহাবিকাশ আঘাড়ী’র কাছে বিজেপি, শিন্ডেসেনা, অজিত পওয়ারপন্থী এনসিপির জোট পর্যুদস্ত হওয়ার কারণেই এই দফায় সে রাজ্যে বিধানসভা ভোট হচ্ছে না। কারণ ‘ঘর গুছাতে’ সময় চাইছে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের দল। শুক্রবারের সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব জানিয়েছেন, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরে ১৮ সেপ্টেম্বর, ২৫ সেপ্টেম্বর এবং ১ অক্টোবর ভোটগ্রহণ হবে। হরিয়ানা রাজ্যের বিধানসভার জন্য শুধু ১ অক্টোবর।
দু’টি বিধানসভা ভোটেরই একসঙ্গে গণনা হবে ৪ অক্টোবর। শুক্রবার থেকেই দুই রাজ্যে চালু হয়ে গিয়েছে নির্বাচনী আচরণবিধি। ঝাড়খণ্ডে ২০১৯ সালের ২৩ ডিসেম্বর ভোটপর্ব সমাপ্ত হয়েছিল। এখনও সেখানে বিধানসভার মেয়াদ চার মাস রয়েছে। তাই আগাম নির্বাচন করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছে কমিশন। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে দিল্লিতে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। তার সঙ্গেই ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা ভোট হতে পারে বলে কমিশনের একটি সূত্র জানাচ্ছে।