মনসুখ হিরেন এবং সচিন ভাজ। ফাইল চিত্র।
মুকেশ অম্বানীর বাড়ির কাছে গাড়িতে বিস্ফোরক রাখার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মুম্বই পুলিশের এনকাউন্টার বিশেষজ্ঞ সচিন ওয়াজে ঘটনার কয়েক দিন আগে দেখা করেছিলেন আরেক অভিযুক্ত, মৃত মনসুখ হিরনের সঙ্গে।
ঘটনার তদন্তে নেমে মহারাষ্ট্র পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখা (এটিএস) এবং এনআইএ একটি ভিডিয়ো উদ্ধার করেছে। ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস রেল স্টেশনের অদূরে জেনারেল পোস্ট অফিসের সামনে তোলা ১৭ ফেব্রুয়ারির ওই ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, একটি মার্সিডিজ গাড়িতে বসে প্রায় ১০ মিনিট কথা বলেছেন সচিন এবং হিরেন। ২৫ ফেব্রুয়ারি অম্বানীর বাড়ির সামনে যে জলপাই রঙের স্করপিও গাড়িতে বিস্ফোরক রাখা হয়েছিল, সেটির মালিক ছিলেন পরিবহণ ব্যবসায়ী মনসুখ। ৫ মার্চ ঠাণে থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, অম্বানীর বাড়ির সামনে বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি উদ্ধারের পরে পুলিশকে মনসুখ জানিয়েছিলেন, ১৭ ফেব্রুয়ারি মুম্বইয়ের মুলুন্ড এইরোলি অঞ্চলে স্করপিওটি রেখে তিনি একটি ট্যাক্সি করে জাভেরি বাজার এলাকায় কাজে গিয়েছিলেন। পরদিন জানতে পারেন, গাড়িটি চুরি গিয়েছে। এ বিষয়ে তিনি ১৮ ফেব্রুয়ারি থানায় অভিযোগও দায়ের করেন।
তবে সংশ্লিষ্ট ট্যাক্সি চালক এটিএস-এর তদন্তকারীদের জানান, মনসুখ মুম্বই পুলিশের সদর দফতর সিআইইউ থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে ক্র্যাফোর্ড মার্কেট এলাকায় যেতে চেয়েছিলেন। মার্কেটের কাছে একটি ট্র্যাফিক সিগন্যালে তিনি নেমে যান। ওই চালক জানান, সে সময় মনসুখ কয়েক বার মোবাইলে কথা বলেছিলেন। তিনি ফোনের ওপারের ব্যক্তিতে ‘স্যর’ বলে সম্বোধন করেছিলেন। এটিএস-এর ধারণা, ওই ‘স্যর’ আসলে সচিন। ১৭ তারিখের একটি ভিডিয়োতে সচিনকে ওই মার্সিডিজ গাড়িতে মুম্বই পুলিশের সদর দফতর থেকে বার হতেও দেখা গিয়েছে।
মনসুখের বাবা বিনোদ ও ছেলে মীতের বয়ানও ইতিমধ্যেই রেকর্ড করেছে মহারাষ্ট্র এটিএস। তাঁদের অভিযোগ, যে গাড়িটি অম্বানীদের বাড়ির সামনে থেকে উদ্ধার হয়েছিল, সেই গাড়িটি ২০২০ সালের নভেম্বর মাস থেকে ২০২১ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মুম্বই পুলিশের তৎকালীন সহকারী কমিশনার সচিন ব্যবহার করেছিলেন। যদিও সচিন সেই অভিযোগ অস্বীকার করেন।