অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিক। ফাইল চিত্র।
অম্বানী-কাণ্ডে তদন্ত চালানোর সময় নিজের হাউসিং সোসাইটির ডিজিটাল ভিডিয়ো রেকর্ডার বাজেয়াপ্ত করেছিলেন মুম্বইয়ের পুলিশ আধিকারিক সচিন বাজ। তদন্তে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
অম্বানী-কাণ্ডে সচিনের নাম সামনে আসার পরই সাসপেন্ড করা হয় তাঁকে। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্তভার হাতে নেওয়ার পরই গ্রেফতার হন সচিন। যে ভিডিয়ো রেকর্ডার বাজেয়াপ্ত করেছিলেন সচিন, সেটার ভিডিয়ো ফুটেজ লোপাট করার করেছেন কিনা তদন্তকারীরা এখন সেটাই খতিয়ে দেখছেন। শুধু তাই নয়, যে গাড়িটি অম্বানীর বাড়ির সামনে রাখা হয়েছিল সেটা নিজের বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন কি না, ভিডিয়ো ফুটেজ থেকে সেটাও জানার চেষ্টা চলছে বলে সূত্রের খবর।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মুকেশ অম্বানীর বাড়ি থেকে কয়েক মিটার দূ্রে একটি পরিত্যক্ত স্করপিও গাড়ি থেকে জিলেটিন স্টিক উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধার হয় অম্বানী পরিবারকে উদ্দেশ করে লেখা হুমকি চিঠিও। এই ঘটনায় তদন্তের দায়িত্ব পড়ে সচিনের উপর। জানা যায়, গাড়িটি মনসুখ হিরেন নামে ঠাণের এক ব্যবসায়ীর।
ঘটনাচক্রে, ৫ মার্চ মনসুখের দেহ একটি জলাশয় থেকে উদ্ধার হয়। তাঁর স্ত্রী অভিযোগ করেন, তদন্তকারী আধিকারিক সচিন এই গাড়িটা চার মাস আগে মনসুখের কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছিলেন। ৫ ফেব্রুয়ারি সেই গাড়ি ফেরৎ দেন। তাঁর স্বামীর মৃত্যুর পিছনে সচিনের হাত রয়েছে বলেও দাবি করেন মনসুখের স্ত্রী। ঘটনা যখন অন্য দিকে মোড় নিতে শুরু করেছে, তখনই তদন্তের দায়িত্ব যায় এনআইএ-র হাতে। আলাদা আলাদা ভাবে তদন্ত শুরু করে এনআইএ এবং মুম্বই পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখা।
তদন্ত যত এগোতে থাকে সচিনের গতিবিধিও এনআইএ-র আতসকাচের তলায় চলে আসে। শেষমেশ শনিবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।