এই ঘটনায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। প্রতীকী ছবি।
স্মার্টফোনটিতে সমস্যা হয়েছিল। তা সারাতে স্থানীয় একটি দোকানে গিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। অভিযোগ ফোন সারানোর নামে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়েছেন দোকানের এক কর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বইয়ের সাকিনাকা থানা এলাকায়।
ঠিক কী অভিযোগ? পুলিশ সূত্রে খবর, সাকিনাকার বাসিন্দা পঙ্কজ কাদাম নামে ৪০ বছর বয়সি এক ব্যক্তির ফোনের স্পিকারে সমস্যা হয়েছিল। সে কারণে গত ৭ অক্টোবর ফোনটি নিয়ে স্থানীয় একটি দোকানে যান। এর পর দোকানের এক কর্মী তাঁকে জানান যে, ফোনটি সারানোর জন্য সিমকার্ড সমেত সেটি রেখে যেতে হবে। সেই মতো ফোনটি দোকানে রেখে যান ওই ব্যক্তি। পরের দিন সন্ধ্যায় ফোনটি ওই ব্যক্তিকে দেওয়ার কথা জানান কর্মী।
কিন্তু পরের দিন, অর্থাৎ, ৮ অক্টোবর যখন তিনি যান, দেখেন দোকানটি বন্ধ। এর পর ৯ ও ১০ অক্টোবরও দোকানটি বন্ধ ছিল বলে দাবি করেছেন পঙ্কজ। কাজের জন্য ফোনটি খুবই দরকার ছিল তাঁর। তাই প্রতিদিনই ওই দোকানে ঢুঁ মারতেন তিনি। গত ১১ অক্টোবর দোকানটি খোলা ছিল। কিন্তু সেখানে অন্য কর্মীরা ছিলেন। নিজের ফোন ও সিমকার্ড চান পঙ্কজ। অভিযোগ, এ নিয়ে নানা অজুহাত দিতে থাকেন কর্মীরা।
দোকানের কর্মীদের আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় এক বন্ধুর ফোনে ব্যাঙ্কিং অ্যাপে নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে লগ ইন করেন পঙ্কজ। তার পরই তাঁর চোখ কপালে ওঠে! অভিযোগ, ফোনের ব্যাঙ্কিং অ্যাপে ঢুকে তাঁর ফিক্সড ডিপোজিট ভাঙিয়ে ২.২ লক্ষ টাকা অন্য একটি অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে। গত ১৪ অক্টোবর এই ঘটনায় সাকিনাকা পুলিশের দ্বারস্থ হন পঙ্কজ।
অভিযোগ পাওয়ার পর এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তবে এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়েছে কিনা, তা এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জানা যায়নি।