অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। প্রতীকী ছবি।
নারী নিরাপত্তা নিয়ে আবার প্রশ্নের মুখে উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের সরকার। আবার ধর্ষণের অভিযোগ প্রকাশ্যে এল। এ বার খোদ রাজধানী লখনউতে। টিউশন থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল অটোচালক ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। গত শনিবার এই ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, টিউশন থেকে বাড়ি ফেরার পথে একটি অটোয় ওঠে ওই নাবালিকা। অভিযোগ, কিছুটা যাওয়ার পর রাস্তা বদলে অন্য পথ নেয় অটো। অন্য রাস্তা দিয়ে যাওয়ায় চিৎকার শুরু করে নাবালিকা। তার পর একটা নির্জন জায়গায় গিয়ে তাকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। নাবালিকার মাথায় আঘাত করা হয় বলেও অভিযোগ। ঘটনার সময় কেড়ে নেওয়া হয় তার ফোন। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে তার উপর নির্মম অত্যাচার চালানো হয় বলে অভিযোগ করেছে নাবালিকা।
অভিযোগ, ধর্ষণের পর পুলিশের একটি গাড়ি দেখতে পেয়ে অভিযুক্তরা অটো থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন নাবালিকাকে। এর পরই পুলিশের দ্বারস্থ হয় নাবালিকা। পুলিশকর্মীরাই তাকে বাড়ি পৌঁছে দেন। পরের দিন অভিযোগ দায়ের করে নাবালিকার পরিবার।
এই ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের পাকড়াও করতে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা হয়েছে। অন্যদিকে, এই ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ না করার অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে পুলিশের এক আধিকারিককে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে নাবালিকার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।
প্রসঙ্গত, গত মাসেই উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে দুই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে। একটি গাছে তাদের দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। এর আগে, উন্নাও, হাথরসের মতো ঘটনা ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল।