AAP

আপ বিধায়কের কাজে মুগ্ধ নয়াদিল্লির বাঙালি মহল্লা

কোভিডের সময়েও এলাকাবাসীর জন্য চব্বিশ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করতে দেখা গিয়েছে ভরদ্বাজকে। দিল্লি দূষণ কমিটির পক্ষ থেকে যমুনায় প্রতিমা বিসর্জন নিষিদ্ধ করে দেওয়ার পর মুশকিল আসান হিসাবে এগিয়ে আসেন ভরদ্বাজ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদাদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২২ ০৮:৪৯
Share:

আপ বিধায়ক সৌরভ ভরদ্বাজ।

পশ্চিমবঙ্গে সংগঠনের বিস্তার ঘটাচ্ছে আম আদমি পার্টি। কলকাতায় খোলা হয়েছে দফতর। পঞ্চায়েত নির্বাচনেও তারা অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ঠিক সেই সময় রাজধানীর বঙ্গ মহল্লায় উত্তরোত্তর জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন গ্রেটার কৈলাশ (দুই) বিধানসভা কেন্দ্রে দু’বারের বিধায়ক সৌরভ ভরদ্বাজ। এলাকার ৩৩টি দুর্গাপুজো সফল হওয়ার পিছনে তাঁর অবদান সব চেয়ে বেশি— একবাক্যে বলছে চিত্তরঞ্জন পার্ক। শুধু পুজো অনুষ্ঠানই নয়, ইপিডিপি (ইস্ট পাকিস্তান ডিসপ্লেসড পার্সন) অ্যাসোসিয়েশনের বক্তব্য, আজ চিত্তরঞ্জন পার্কের জলের কষ্ট দূর হওয়ার পিছনেও এই বিধায়কের গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রয়েছে।

Advertisement

পেশায় প্রযুক্তিবিদ এবং দীর্ঘদিন বিদেশে চাকরি করা সৌরভ তাঁর রাজনৈতিক যাত্রা শুরু করেন আপ-এ যোগ দিয়ে। আজ জনসংযোগকে হাতিয়ার করে সেই পথে তিনি অনেকটাই সফল বলে মনে করছেন তাঁর সঙ্গে কাজ করা এলাকার বাসিন্দারা। ১৯৫০ সালে তৈরি হওয়া ‘ইপিডিপি’স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সচিব গৌতম সেন চৌধুরী জানালেন, “আগে চিত্তরঞ্জন পার্ক দিন প্রতি ৫ লক্ষ গ্যালন জল পেত, যা প্রয়োজনের তুলনায় কিছুই নয়। জলের জন্য হাহাকার লেগে থাকত। এখন সৌরভ ভরদ্বাজের নিরলস চেষ্টায় আমরা পাই দিনে সাড়ে ১২ লক্ষ গ্যালন করে জল। আগে ছিল তিনটি নলকূপ। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১টিতে।” নিয়মিত অ্যাসোসিয়শনের সদস্যদের নিয়ে দিল্লি জল বোর্ডের অফিসে গিয়ে পড়ে থেকেছেন সৌরভ। তবেই এ’টি সম্ভব হয়েছে। তিনি এখন জল বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যানও বটে।

কোভিডের সময়েও এলাকাবাসীর জন্য চব্বিশ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করতে দেখা গিয়েছে ভরদ্বাজকে। দিল্লি দূষণ কমিটির পক্ষ থেকে যমুনায় প্রতিমা বিসর্জন নিষিদ্ধ করে দেওয়ার পর মুশকিল আসান হিসাবে এগিয়ে আসেন ভরদ্বাজ। আস্থাকুঞ্জ এবং গুরুদ্বার পার্কের পাশে কৃত্রিম পুকুর তৈরি করে এ বছর ৩৩টি প্রতিমার ভাসান দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। চিত্তরঞ্জন পার্কের একটি পুজোর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত উৎপল ঘোষ জানাচ্ছেন, “পুজো করার জন্য বিভিন্ন সময়ে যে সরকারি অনুমতিগুলি লাগে, তা মসৃণ ভাব হয়ে গিয়েছে এখানকার বিধায়কের জন্য। উনি না থাকলে এক একটি অনুমতির জন্য অনেক ঝক্কি পোয়াতে হত। শুধু পুজো নয়, সারা বছরই আমরা ওঁকে পাশে পাই।” বাংলা মাধ্যম স্কুলের উন্নতির জন্যও তিনি একই ভাবে সচেষ্ট।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement