বাজ পড়ে উত্তরাখণ্ডের অরণ্যে মৃত্যু হল বহু ভেড়া, ছাগলের। ছবি: সংগৃহীত।
প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের বলি হল অন্তত সাড়ে তিনশো ছাগলও ভেড়া। ঘটনা উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীর। স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দেবে সরকারকে।
শনিবার রাতে বৃষ্টির মধ্যে ৩৫০টি ছাগল ও ভেড়া নিয়ে হৃষীকেশ থেকে উত্তরকাশী ফিরছিলেন বারসু গ্রামের বাসিন্দা সঞ্জীব রাওয়াত। সঙ্গে ছিলেন তাঁর এক বন্ধুও। খাট্টুখাল অরণ্যের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় বজ্রপাত হয় একটি বিশাল পাইন গাছে। সেই সময় সঞ্জীব ছাগলের দলের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর বন্ধু বৃষ্টি থেকে বাঁচতে অন্য একটি গাছের তলায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। বজ্রাহত পাইন গাছটির আশপাশে ছিল ছাগল ও ভেড়াগুলি। বজ্রপাত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্যু হয় সবক’টি ছাগল ও ভেড়ার। কোনও ক্রমে প্রাণে বেঁচে যান সঞ্জীব এবং তাঁর বন্ধু।
স্থানীয় গ্রামবাসী জগমোহন রাওয়াত জানিয়েছেন, খাট্টুখাল গ্রামের কাছে জঙ্গলে বাজ পড়ার আওয়াজ তাঁরাও পেয়েছিলেন। কিন্তু বুঝতে পারেননি এই ঘটনা ঘটেছে। জগমোহন মনে করতে পারছেন না, শেষ কবে বাজ পড়ে একসঙ্গে এত পশুর মৃত্যুর খবর শুনেছেন তিনি। উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন এলাকায় বজ্রপাতের খবর প্রায়ই শোনা যায়। কিন্তু এই ঘটনার কথা শুনে চমকে উঠছেন সবাই।
উত্তরাখণ্ডের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর অকুস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেছে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করে তা জমা দেওয়া হবে রাজ্য সরকারের কাছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, ৩০ মার্চ পর্যন্ত উত্তরাখণ্ড জুড়ে চলবে ভারী বৃষ্টি। ফলে আগামী দিনেও এমন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে এই আশঙ্কায় মানুষকে সতর্ক করার কাজও শুরু হয়েছে।