রাজঘাটে ‘সঙ্কল্প সত্যাগ্রহ’-এর জনসভায় প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা।
যে ব্যক্তি দেশের মানুষের জন্য লড়াই চালাচ্ছেন, গরিব, মহিলা এবং তরুণদের অধিকারের জন্য আওয়াজ তুলছেন, তাঁকেই ‘পাপ্পু’ বলে কটাক্ষ করা হচ্ছে। যে ব্যক্তি হার্ভার্ড, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি নিয়ে এসেছেন, অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর, এমফিল করেছেন, তাঁর সম্পর্কে সত্যিটা না জেনে ‘পাপ্পু’ বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। রবিবার দিল্লির রাজঘাটে কংগ্রেসের ‘সঙ্কল্প সত্যাগ্রহ’-এর জনসভায় ভাই রাহুলের পাশে দাঁড়িয়েই ‘পাপ্পু’ কটাক্ষের জবাব দিলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা।
জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে ‘পাপ্পু’ বলে কটাক্ষ করে থাকেন শাসকদলের অনেক নেতা-মন্ত্রী। নাম না করে তাঁদের উদ্দেশে প্রিয়ঙ্কার মন্তব্য, “রাহুল গান্ধী বিশ্বের সবচেয়ে বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পড়াশোনা করে এসেছেন। হার্ভার্ড, কেমব্রিজের ডিগ্রি আছে ওঁর কাছে। কেমব্রিজ থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর, এমফিল করেছেন। ওঁর ডিগ্রি, ওঁর সম্পর্কে সত্যটা না জেনেই ওঁকে পাপ্পু বানাচ্ছেন!”
প্রিয়ঙ্কা আরও বলেন, “যাঁকে ‘পাপ্পু’ বলে কটাক্ষ করা হচ্ছে, সেই রাহুল যখন গোটা দেশ জুড়ে পদযাত্রায় নেমেছিলেন, তাঁর সঙ্গে যখন লক্ষ মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হেঁটেছেন, তখন মনে হয়েছে, আরে! এ তো ‘পাপ্পু’ নয়! এ তো সৎ, সব কিছু বোঝেন, তখন ভয় পেয়ে গিয়েছেন।”
দেশবাসীর অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে বলেই নানা ভাবে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন প্রিয়ঙ্কা। কিন্তু এ ভাবে বেশি দিন চলবে না। তাঁর কথায়, “আজ যখন রাহুল সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছেন, যখন সাধারণ মানুষ রাহুলের পাশে দাঁড়িয়েছেন, ওঁদের মধ্যে ভয় ঢুকে গিয়েছে। সংসদে রাহুল যে প্রশ্ন তুলেছেন, তার জবাবও এঁদের কাছে নেই। ফলে সর্বশক্তি দিয়ে আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।”