—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
গ্রাম পঞ্চায়েতের ‘জেনারেল মিটিং’ ঘিরে উত্তেজনা কোচবিহারের তুফানগঞ্জের অন্দোরান ফুলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে। বিজেপি পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকে হেনস্থার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পঞ্চায়েত অফিসের মূল ফটকে তালা মেরে প্রধানকে আটকে রাখা এবং পরে তাঁকে ধাক্কাধাক্কি করে বার করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এ নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন প্রধান। অন্য দিকে, শাসকদল সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে অন্দোরান ফুলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২টি আসনের মধ্যে নয়টি আসনে জয়ী হয় বিজেপি। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করে তারা। প্রধান নির্বাচিত হন বিজেপির ননীবালা বর্মণ। মঙ্গলবার সেই ননীবালা অভিযোগ করেন, ‘‘গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনী আমাদের পঞ্চায়েত সদস্যদের কার্যালয়ে ঢুকতে বাধা দিচ্ছেন।’’
জানা গিয়েছে, বিজেপির নয় পঞ্চায়েত সদস্যের মধ্যে দু’জন সম্প্রতি তৃণমূলে যোগদান করেছেন। কিন্তু বিজেপির অভিযোগ, তারা যাতে কোনও ভাবে পঞ্চায়েত পরিচালনা করতে না পারে, তার সব রকম চেষ্টা করছে তৃণমূল। পঞ্চায়েতের দখল নিতে না পেরে তাদের সদস্যদের অফিসে ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার পঞ্চায়েতের বৈঠকও ভেস্তে দেওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রের খবর, মঙ্গলবার পঞ্চায়েতের ‘জেনারেল মিটিং’ ডাকা হয়েছিল। সেখানে বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য এবং প্রধান হাজির হন। সেই সময় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা পঞ্চায়েত অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, ‘‘যাতে মিটিং শেষ করতে না পারি, সে জন্য আমাদের একটি ঘরে আটকে রাখে ওরা। পরে আমাকে ধাক্কা দিয়ে বার করে দেওয়া হয় গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস থেকে। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে।’’ পঞ্চায়েতে গন্ডগোল এবং বিজেপির অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্থানীয় যুব তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সুব্রত দাসের দাবি, গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে কোনও মিটিং ছিল না। তিনি বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত কার্যালয়ে গন্ডগোল পাকানোর জন্য এসেছিলেন প্রধান। আমরা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে আসার পরে দেখতে পাই, ওঁরা চলে গিয়েছেন। প্রধান এবং পঞ্চায়েত সদস্যদের হেনস্থার অভিযোগ ভিত্তিহীন।’’