কংগ্রেস এখন একটি পদে থাকবেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। ফাইল চিত্র।
কংগ্রেসে ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতি মেনে মধ্যপ্রদেশে বিধানসভার বিরোধী নেতার পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন কমল নাথ। তিনি এখন শুধুই মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি।
বৃহস্পতিবার কমলের ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। তবে এ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। পদ্ম শিবিরের কটাক্ষ, আসলে ডানা ছাঁটা হল কমলের। তাঁকে পদত্যাগ করিয়ে মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসে আবার দিগ্বিজয় সিংহ-যুগের প্রত্যাবর্তন করানো হল।
যদিও মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের বিরোধী নেতা থেকে পদত্যাগের খবর অস্বীকার করেছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। একটি চিঠিতে প্রবীণ কংগ্রেস কে সি বেণুগোপাল জানিয়েছেন, বিরোধী নেতা হিসেবে নিযুক্ত করা হচ্ছে গোবিন্দ সিংহকে। গোবিন্দ দিগ্বিজয়-ঘনিষ্ঠ এবং সাতবারের বিধায়ক। তিনি নিজে অবশ্য দাবি করেছেন, কমল নাথ পদত্যাগ করেননি। শুধু তাঁর হাতে দায়িত্ব সঁপেছেন। তিনি বলেন, ‘‘বিধানসভায় বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে যাব। মানুষের কথা তুলে ধরব।’’
অন্য দিকে, এই খবরে বিজেপি নেতা লোকেন্দ্র পরাশরের দাবি, কমল নাথের ডানা ছেঁটেছে কংগ্রেস। গোবিন্দ সিংহকে বিরোধী নেতা করে বার্তা দেওয়া হল আবার দিগ্বিজয়-যুগ ফিরছে কংগ্রেসে। তিনি বলেন, ‘‘কাল হয়তো দেখব কংগ্রেস সভাপতির পদেও কংগ্রেসের তফসিলি নেতা উমং সিঙ্ঘরকে সঁপেছেন কমল।’’বিজেপির দাবি, তফসিলি জাতি-জনজাতির নামে কংগ্রেস বিভেদের রাজনীতি করে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটে জয়ের পরও প্রদেশ কংগ্রেসের পদ সামলেছেন কমলনাথ। যা নিয়ে তৎকালীন কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য শিণ্ডের বিরোধ দেখা যায়। পরে ২২ জন কংগ্রেস বিধায়ক নিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেন শিণ্ডে। ভেঙে যায় কংগ্রেস সরকার।