Viral Video

মত্ত অবস্থায় ট্রেনের চাকার ফাঁকে ২৯০ কিমি ভ্রমণ! কী ভাবে ধরল পুলিশ? ভাইরাল ভিডিয়োয় হইচই

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রেলকর্মীরা জবলপুরে দানাপুর এক্সপ্রেসের কামরাগুলির ‘আন্ডার-গিয়ার’ পরীক্ষা করছিলেন। তখন তাঁরা দেখেন এস৪ কামরার নীচে এক তরুণ লুকিয়ে রয়েছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ১২:৪৬
Share:
Video of man travels 290 kilometre by hanging under train coach, police takes action

ছবি: এক্স থেকে নেওয়া।

ট্রেনের চাকার ফাঁকে ২৯০ কিলোমিটার ভ্রমণ! এক মত্ত তরুণের এ-হেন দাবিকে কেন্দ্র করে হইচই পড়ল মধ্যপ্রদেশে। দানাপুর এক্সপ্রেসে ঘটনাটি ঘটেছে। ওই তরুণের দাবি, বৃহস্পতিবার মধ্যপ্রদেশের ইটারসী থেকে তিনি ট্রেনে চড়েছিলেন। তবে ট্রেনের কামরায় নয়, কামরার নীচে চাকার ফাঁকে বসে জবলপুর পর্যন্ত সফর করেন তিনি। ২৯০ কিলোমিটার সফরের পর তাঁকে জবলপুর থেকেই আটক করা হয়। যদিও পরে রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ওই তরুণ যা দাবি করেছে তা বাস্তবে সম্ভব নয়। কারণ, অ্যাক্সেল সেটের কারণে চাকার ফাঁকে বসে সফর করা কারও পক্ষে সম্ভব নয়। পাশাপাশি, ওই তরুণকে মানসিক ভাবে ভারসাম্যহীন এবং তাঁর দাবি বিভ্রান্তিকর বলেও দাবি করেছে রেল। সেই ঘটনার একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। যদিও সেই ভিডিয়ো সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।

Advertisement

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রেলকর্মীরা জবলপুরে দানাপুর এক্সপ্রেসের কামরাগুলির ‘আন্ডার-গিয়ার’ পরীক্ষা করছিলেন। তখন তাঁরা দেখেন এস৪ কামরার নীচে এক তরুণ লুকিয়ে রয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে বাইরে বেরোতে বলা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের সময় দেখা যায়, তিনি মত্ত অবস্থায় রয়েছেন। তিনি জানান, ইটারসী থেকে ট্রেনে উঠেছিলেন তিনি। এর পরেই ওই তরুণকে রেলপুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। রেল সুরক্ষা বাহিনী ইতিমধ্যেই ওই তরুণের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে।

ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, দানাপুর এক্সপ্রেসের একটি কামরার নীচে লুকিয়ে রয়েছেন তরুণ। ক্যারেজ এবং ওয়াগন বিভাগের কর্মীরা তাঁকে সেখানে লুকিয়ে থাকতে দেখেন। ধমক খাওয়ার পর ওই মত্ত তরুণ ট্রেনের নীচে থেকে বেরিয়ে আসেন। জানান, তিনি ইটারসী থেকে এই ভাবে ট্রেনের নীচে ঝুলে ঝুলে ভ্রমণ করছেন। সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে।

Advertisement

ভাইরাল ভিডিয়টি এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেছেন রাজেশ বিশ্বকর্মা নামে স্থানীয় এক সাংবাদিক। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ সেই ভিডিয়ো দেখেছেন। লাইক-কমেন্টের ঝড় উঠেছে সমাজমাধ্যমে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement