Bihar Police

পুলিশের খাতায় ‘মৃত’! ১৬ বছর পর মিলল খোঁজ, তাঁকে খুনের মামলায় জেল খেটেছেন বিহারের ৪ জন

প্রায় ১৬ বছর আগে নিখোঁজ হয়ে যান। অভিযোগ ওঠে, তাঁকে খুন করা হয়েছে। সেই মামলায় চার জন জেলও খেটেছেন। অবশেষে বিহারের ওই প্রৌঢ়কে খুঁজে পাওয়া গেল উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসিতে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৭:২৬
Share:

বিহার থেকে নিখোঁজ হওয়ার ১৬ বছর পর নাথুনি পালের সন্ধান মিলল উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসিতে। ছবি: সংগৃহীত।

২০০৯ সাল থেকে নিখোঁজ। তাঁকে ‘খুন’ করা হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল। পুলিশের খাতাতেও তিনি ‘মৃত’। তাঁকে খুনের অভিযোগে জেল খেটেছেন চার জন। প্রায় ১৭ বছর পর সন্ধান পাওয়া গেল বিহারের সেই নিখোঁজ হয়ে যাওয়া প্রৌঢ়ের।

Advertisement

উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসি থেকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে পঞ্চাশোর্ধ্ব প্রৌঢ়কে। নাম নাথুনি পাল। বাড়ি বিহারের দেওরিয়ায়। গত ৬ জানুয়ারি ঝাঁসি পুলিশের একটি টহলদারি দল তাঁকে খুঁজে পায়। তখনও পুলিশ জানত না তাঁর বিষয়ে। জিজ্ঞাসাবাদ করায় পুলিশ জানতে পারে ঝাঁসি সংলগ্ন একটি গ্রামে গত মাস ছয়েক ধরে থাকছেন তিনি। তাঁর বাড়ি বিহারের দেওরিয়ায়। পরে আরও খোঁজখবর নেওয়ায় পুলিশ জানতে পারে তিনি একাই থাকেন ওই গ্রামে। গত ১৬ বছরে তিনি বিহারের গ্রামের বাড়ি যাননি। ওই প্রৌঢ়কে বিহার পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে ঝাঁসি পুলিশ।

বিহার পুলিশ সূত্রে খবর, ২০০৯ সাল নাথুরাম নিখোঁজ হয়ে যান। তাঁর মামা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নাথুরামের কাকা এবং খুড়তুতো ভাইদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ ছিল, জমিজমা সংক্রান্ত বিবাদকে কেন্দ্র করে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন নাথুরামের কাকা। তাঁকে খুন করে জমি হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ দায়ের হয়।

Advertisement

খুনের মামলায় নাথুরামের কাকা এবং তাঁর তিন সন্তানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই মামলা এখনও বিচারাধীন বিহারের আদালতে। কাকার ইতিমধ্যে মৃত্যুও হয়েছে। তাঁর তিন সন্তান বর্তমানে জামিনে মুক্ত।

নাথুরামের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে জেনে স্বস্তি পেয়েছেন তাঁর খুড়তুতো ভাইয়েরাও। তাঁর এক তুতো ভাই সত্যেন্দ্র পাল জানান, মামলায় প্রথমে তাঁর নামও যুক্ত করা হয়েছিল। পরে সেটি বাদ দেওয়া হয়। তিনি বলেন, “আমার বাবা এবং ভাইয়েরা আট মাস জেলে থেকেছেন খুনের মামলায়। খুনের দায় থেকে অবশেষে আমরা মুক্তি পাব।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement