গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
লেখাপড়া বেশি দূর করতে পারেননি তিনি। কিন্তু স্ত্রী ‘শিক্ষিত’। লেখাপড়া নিয়ে সেই স্ত্রীর কাছ থেকেই বার বার গঞ্জনা জুটত যুবকের। যা সহ্য করতে না-পেরে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। প্রকাশ্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে গায়ে আগুনও দিয়েছিলেন। স্থানীয়েরা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। এ যাত্রায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন যুবক।
উত্তরপ্রদেশের ফতেপুর জেলার ক্যান্টনমেন্ট এলাকার ঘটনা। হুসেনগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা ওই যুবকের নাম দীপক ভারতী। তিনি খুব বেশি পড়াশোনা করেননি। অক্ষরজ্ঞান থাকলেও ভাল করে লিখতে বা পড়তে পারেন না। বিয়ের পর থেকে তা নিয়ে তাঁর স্ত্রী তাঁকে খোঁটা দিতেন বলে অভিযোগ। স্বামীকে লেখাপড়া শেখার জন্য চাপও দিতেন। তা নিয়ে দম্পতির মধ্যে নিত্য অশান্তি লেগে থাকত। দীপকের স্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা তাঁর চেয়ে বেশি ছিল। তিনি ক্যান্টনমেন্টের গেস্ট হাউসে কাজ করতেন। গায়ে আগুন দেওয়ার জন্য স্ত্রীর সেই কর্মক্ষেত্রকেই বেছে নেন যুবক।
পুলিশ জানিয়েছে, ক্যান্টনমেন্ট গেস্ট হাউসের সামনে দাঁড়িয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিজের গায়ে পেট্রল ঢালেন যুবক। তার পর আগুন ধরিয়ে দেন। রাস্তায় যাঁরা ছিলেন, সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করেন এবং আগুন নেভান। যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিল পুলিশ। হাসপাতালে তারা যুবককে জিজ্ঞাসাবাদও করে। যুবক জানান, স্ত্রীর উপর অভিমানে এবং বার বার লেখাপড়া নিয়ে খোঁটা দেওয়ার প্রতিবাদেই তিনি আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন। দম্পতির আট বছরের কন্যা এবং তিন বছরের পুত্র রয়েছে। মঙ্গলবারও তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। ঝগড়ার পর বাড়ি থেকে বেরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন যুবক। তাঁর স্ত্রী এবং পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।