Kota Suicide

কোটায় ২৪ ঘণ্টায় দুই পড়ুয়ার আত্মহত্যা! কাজ হচ্ছে না প্রশাসনিক পদক্ষেপেও? উঠছে প্রশ্ন

কিছু দিন আগেই কোটার পুলিশ একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। সেখানে দাবি করা হয়, ২০২৪ সালে আত্মহত্যার সংখ্যা ২০২৩ সালের তুলনায় কম। গত বছর ১৭টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। সেখানে ২০২৩ সালে ২৬টি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১১:২৪
Share:

কোটায় দুই পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার। প্রতীকী ছবি।

রাজস্থানের কোটায় পড়ুয়াদের আত্মহত্যার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দুই পড়ুয়ার দেহ উদ্ধারে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার রাতে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পড়য়ুার দেহ উদ্ধার হয়েছে। পেয়িং গেস্ট হিসাবে থাকতেন ওই পড়ুয়া। বুধবার সন্ধ্যা থেকে তাঁর কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে বাড়ির মালিকের সন্দেহ হয়। ভিতর থেকে দরজা বন্ধ ছিল। তার পরই পুলিশে খবর দেন বাড়ির মালিক।

Advertisement

পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ঘরের ভিতরে ঢুকতেই দেখে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন ওই পড়ুয়া। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ জানিয়েছে, পড়ুয়ার নাম অভিষেক। তিনি মধ্যপ্রদেশের গুনার বাসিন্দা। গত বছরের মে মাসে কোটায় জয়েন্টের কোচিংয়ের জন্য এসেছিলেন। কোচিং সেন্টারের কাছেই ডাকানিয়া এলাকায় একটি বাড়িতে পেয়িং গেস্ট হিসাবে থাকছিলেন। বাড়ির মালিকের দাবি, প্রতি দিনের মতো বুধবারও কোচিং সেন্টার থেকে ফিরে ঘরে ঢুকে গিয়েছিলেন অভিষেক। তার পর তাঁর আর কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি।

পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার রাত পৌনে ৮টা নাগাদ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে তারা। অভিষেককে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে এটি আত্মহত্যার ঘটনা। অভিষেকের কোনও মানসিক অবসাদ ছিল কি না, পরীক্ষা নিয়ে কোনও চাপে ছিল কি না, পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে তা জানার চেষ্টা চলছে। তবে ঘর থেকে কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি বলে দাবি পুলিশের।

Advertisement

মঙ্গলবার গভীর রাতে ওই এলাকাতেই আরও এক পড়ুয়া আত্মহত্যা করেন। তিনিও জয়েন্ট নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন। হরিয়ানার বাসিন্দা। তাঁর নাম নীরজ। হস্টেলে থাকতেন। সেখান থেকেই তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পর পর দু’টি আত্মহত্যার ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কোটায় আত্মহত্যার সংখ্যা কী ভাবে কমানো যায়, তা নিয়ে নানা রকম পদক্ষেপ করেছে প্রশাসন। কিন্তু তার পরেও কেন আটকানো যাচ্ছে না, গত ২৪ ঘণ্টায় দু’টি পর পর আত্মহত্যার ঘটনায় সেই প্রশ্ন আবার জোরালো হতে শুরু করেছে। তা হলে কি প্রশাসনিক পদক্ষেপে কোনও খামতি থাকছে, তা নিয়েও জল্পনা বাড়ছে।

কিছু দিন আগেই কোটার পুলিশ একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। সেখানে দাবি করা হয়, ২০২৪ সালে আত্মহত্যার সংখ্যা ২০২৩ সালের তুলনায় কম। গত বছর ১৭টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে, সেখানে ২০২৩ সালে ২৬টি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement