ওমর আবদুল্লা। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
জম্মু ও কাশ্মীরের সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা ভোটে শ্রীনগরের দু’টি আসন থেকে জয়ী হয়েছিলে তিনি। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে ন্যাশনাল কনফারেন্সের (এনসি) তার মধ্যে বদগাঁও আসনের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। রাখলেন ‘পারিবারিক কেন্দ্র’ হিসাবে পরিচিত গন্ডেরবাল। সোমবার জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভার প্রোটেম স্পিকার মুবারক গুল এ কথা জানিয়েছেন।
এ বারের বিধানসভা ভোটে এনসি প্রার্থী ওমর বদগাঁও কেন্দ্রে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির পিপল্স ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিডিপি)-র প্রার্থী আগা সৈয়দ মুনতাজ়ির মেহদিকে প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার ভোটে হারিয়েছেন। গন্ডেরবালে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী পিডিপির বশির আহমেদ মিরের সঙ্গে তাঁর জয়ের ব্যবধান সাড়ে ১০ হাজারেরও বেশি। ২০০৯ এবং ২০১৪ সালের বিধানসভা ভোটেও গন্ডেরবাল আসনে জয়ী হয়েছিলেন ওমর। তাঁর পিতা ফারুক আবদুল্লা এবং পিতামহ শেখ আবদুল্লা ওই আসন থেকে জিতেই জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।
ওমর এর আগে ২০০৯-১৪ জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তবে জম্মু ও কাশ্মীর সে সময় পূর্ণাঙ্গ রাজ্য ছিল। প্রসঙ্গত, এক দশক পরে আবার বিধানসভা ভোট হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরে। আর তাতে ক্ষমতা ফের চলে এসেছে আবদুল্লা পরিবারের হাতে। ৯০ আসনের বিধানসভায় ফারুক-ওমরের দল এনসি জিতেছে ৪২টিতে। সহযোগী কংগ্রেস ছয় এবং সিপিএম একটিতে। অন্য দিকে, বিজেপি ২৯, পিডিপি তিনটি আসনে জিতেছে। প্রাক্তন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সাজ্জাদ লোনের পিপল্স কনফারেন্স এবং আম আদমি পার্টি (আপ) একটি করে আসনে জয়ী হয়েছে। নির্দল প্রার্থীরা সাতটিতে জিতেছেন। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক জন নির্দল প্রার্থী শাসক জোটে শামিল হয়েছেন। জম্মুর ছাম্বের নির্দল বিধায়ক সতীশ শর্মা গত ১৬ অক্টোবর মন্ত্রী হিসাবে শপথও নিয়েছেন।