বাল্মীকি মন্দিরে রাহুল গান্ধী। ছবি: পিটিআই।
হরিয়ানায় টানা তিন বার বিজেপির জয় ঠেকাতে পারেননি। জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা ভোটেও এক দশক আগের শেষ ভোটের তুলনায় কংগ্রেসের আসন অর্ধেক হয়ে গিয়েছে। এই আবহে মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা ভোটের প্রচার শুরু আগে দিল্লির বাল্মীকি মন্দিরে পুজো দিতে গেলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী।
বৃহস্পতিবার বাল্মীকি জয়ন্তীর সকালে মন্দির মার্গের বাল্মীকি মন্দিরে পুজো দিতে যান রাহুল। মন্দিরের অন্দরে তাঁর প্রার্থনার ছবি কংগ্রেসের তরফে সমাজমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। আর তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে সাড়ম্বরে রামায়ণ রচয়িতার জন্মজয়ন্তী ‘পরগত দিবস’ হিসাবে পালিত হয়। দুই রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে ভোট-রাজনীতিকে ‘পাখির চোখ’ করেই রাহুলের এই পদক্ষেপ কি না, তা নিয়ে জল্পনা দানা বেঁধেছে।
তা ছাড়া, হিন্দিবলয় এবং পশ্চিম ভারতে দলিতদের অন্যতম বড় উপগোষ্ঠী হল বাল্মীকি সম্প্রদায়। রামায়ণ রচয়িতা মহর্ষি বাল্মীকি তাঁদেরই সম্প্রদায়ের মানুষ ছিলেন বলে গর্ব করেন বাল্মীকিরা। উত্তর ভারতে দলিতদের বৃহত্তম উপগোষ্ঠী জাটভরা বিএসপির সমর্থক বলে পরিচিত। কিন্তু গত এক দশক ধরেই বাল্মীকিরা ‘বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক’ হিসাবে চিহ্নিত। সেই সমর্থন পেতেই রাহুলের এই তৎপরতা বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন। তবে দিল্লির ওই বাল্মীকি মন্দিরের সঙ্গে কংগ্রেসের ঐতিহাসিক যোগাযোগও রয়েছে। মহাত্মা গান্ধী একদা টানা ২০০ দিন বাস করেছিলেন ওই মন্দির সন্নিহিত আশ্রমে।