Metro Disruption

পর পর মেট্রো বাতিল, স্টেশনে স্টেশনে যাত্রীদের ভিড়, দমদমে ধাক্কায় পড়ে গিয়ে আহত মহিলা

মেট্রো পরিষেবা ব্যাহত। পর পর বেশ কয়েকটি মেট্রো বাতিল। যার জেরে স্টেশনে স্টেশনে যাত্রীদের ভিড়। দমদমে যাত্রীদের ধাক্কায় পড়ে আহত এক মহিলাও।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৫ ১৩:১২
Share:

দুপুর ১টা: দমদম স্টেশনে জনসমুদ্র। —নিজস্ব চিত্র।

মেট্রো পরিষেবা ব্যাহত। পর পর বেশ কয়েকটি মেট্রো বাতিল। যার জেরে স্টেশনে স্টেশনে যাত্রীদের ভিড়। দমদমে যাত্রীদের ধাক্কায় পড়ে আহত এক মহিলাও।

Advertisement

দমদমে স্টেশনের যাত্রীরা জানাচ্ছেন, মোটামুটি পৌনে ১টা থেকে কবি সুভাষ থেকে দমদমগামী লাইনে পরিষেবা ব্যাহত। অন্তত তিনটি মেট্রো দমদম স্টেশনে এসে পৌঁছয়নি। কিন্তু কেন মেট্রো বাতিল, সে ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও ব্যাখ্যা মেলেনি। স্টেশনে এ ব্যাপারে কোনও ঘোষণাও হয়নি বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা।

মেট্রো কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, পরিষেবা বন্ধ হয়নি। ট্রেন চলছেই। পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। মেট্রোর এক মুখপাত্র বলেন, “বেলা ১২টা ৪০ মিনিট নাগাদ একটি রেক দক্ষিণেশ্বর স্টেশন থেকে যাত্রী নিয়ে রওনা দেয়। প্ল‍্যাটফর্ম ছেড়ে বেরোনোর আগেই যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দেয় তাতে। ফলে ওই রেকটি তখন ছাড়তে পারেনি। পরে ওই রেকের যাত্রীদের নিয়ে অন‍্য একটি রেক ১২টা ৫০ মিনিটে রওনা দেয়। পরিষেবা বন্ধ হয়নি। একটি মেট্রো ছাড়তে পারেনি। ১০ মিনিট পরে অন‍্যটি ছাড়ে। খারাপ রেকটি সারিয়ে আবার যাত্রী পরিষেবায় নামানো হয়। যাত্রীদের মধ‍্যে কোনও হুড়োহুড়ি দেখা যায়নি। আমরা প্রতি মুহূর্তে সিসি ক‍্যামেরায় নজরদারি রেখেছি।”

Advertisement

অন্য দিকে, যাত্রীদের দাবি, পর পর তিনটি মেট্রো বাতিল হওয়ার পর একটি মেট্রো আসে দমদম স্টেশনে। ভিড় এতই বেশি ছিল যে, অনেক যাত্রীই ওই মেট্রোয় উঠতে পারেননি। মেট্রোয় উঠতে গিয়ে চোট পেয়েছেন বেলঘরিয়ার বাসিন্দা পুতুল দে। ওই যাত্রী বলেন, ‘‘রবীন্দ্র সদন যাব। দমদমে ১৫-২০ মিনিট দাঁড়িয়েছিলাম। মেট্রো আসার পর উঠতে গিয়ে পিছন দিক থেকে যাত্রীদের ধাক্কায় পড়ে গিয়েছি। পায়ে চোট লেগেছে। বসারও জায়গা পেলাম না। যা ভিড়, তাতে পায়ে ব্যথা নিয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে অত দূর যেতে হবে।’’

অঞ্জন পাল নামে এক যাত্রী বলেন, ‘‘১২টা ৪৮ মিনিটে একটা মেট্রো আসার কথা ছিল। সেটা বাতিল হল। এর পর আরও দুটো মেট্রো বাতিল হয়। কেন মেট্রো বাতিল, তা জানানো হয়নি। ব্যস্ত সময়ে যদি এ রকম হয়, তা হলে তো খুবই মুশকিল।’’ তিনটি মেট্রো বাতিল হওয়ার পর দুপুর ১টা ৩ মিনিটে যে দমদম স্টেশনে আসে, ভিড়ের চাপে তাতে উঠতেই পারেননি বালির বাসিন্দা স্নেহা পাল। তিনি বলেন, ‘‘তিনটে মেট্রোর যাত্রী ওই মেট্রোতে উঠছিল। এত ভিড় যে উঠতেই পারলাম না। কোথাও কোনও গন্ডগোল হলে তো জানানো উচিত। অফিস ঢুকতে অনেক দেরি হয়ে যাবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement