Ayodhya Verdict

‘অযোধ্যা মামলার সমাধান খুঁজতে ঈশ্বরকে ডেকেছি’, মন্তব্য প্রধান বিচারপতির, সমালোচনায় বিরোধীরা

প্রধান বিচারপতি অযোধ্যা রায় প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘যদি ইশ্বরের উপর বিশ্বাস থাকে তবে ঈশ্বরই সমাধানের পথ দেখান। আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা জানিয়েছিলাম। তিনি সমাধানের পথ খুঁজে দিয়েছিলেন।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০২৪ ১৫:৪৫
Share:

গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

অযোধ্যায় জমি বিবাদ মামলার শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য তিনি ভগবানের কাছে প্রার্থনা করেছিলেন। রবিবার এ কথা জানিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। তাঁর ওই মন্তব্যের পরই শুরু হয়েছে বিতর্ক। সমাজবাদী পার্টির সাংসদ রামগোপাল যাদব এবং কংগ্রেস নেতা উদিত রাজ প্রধান বিচারপতির ওই মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন।

Advertisement

মহারাষ্ট্রের খেড়ে একটি অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি ২০১৯-এর ডিসেম্বরে অযোধ্যার ‘রামজন্মভূমি-বাবরি মসজিদ’ মামলার রায় ঘোষণার আগে ভগবানের কাছে তাঁর প্রার্থনার কথা জানিয়ে বলেন, ‘‘যদি ইশ্বরের উপর বিশ্বাস থাকে তবে ঈশ্বরই সমাধানের পথ দেখান। আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা জানিয়েছিলাম। তিনি সমাধানের পথ খুঁজে দিয়েছিলেন।’’

প্রাক্তন সাংসদ তথা কংগ্রেস নেতা উদিত সোমবার চন্দ্রচূড়ের ওই মন্তব্যের প্রসঙ্গ তুলে ইউটিউবে লেখেন, ‘‘প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়জি বলেছেন, যে তিনি অযোধ্যা সমস্যার সমাধানের জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছিলেন। তিনি যদি অন্য কিছু সমস্যার জন্য প্রার্থনা করতেন, তবে সেগুলিও সমাধান হয়ে যেত। যেমন একজন সাধারণ মানুষ হাই কোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্ট থেকে ন্যায়বিচার পেতে পারত। ইডি, সিবিআই এবং আইটির (আয়কর বিভাগ) অর্থের অপব্যবহার বন্ধ হয়ে যেত।”

Advertisement

অন্য দিকে, সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশের কাকা রামগোপাল প্রধান বিচারপতি সম্পর্কে আপত্তিকর শব্দ প্রয়োগ করেন বলে অভিযোগ। যদিও এ নিয়ে বিতর্কের মুখে সোমবার তিনি বলেন, ‘‘আমার কাছে কেউ অযোধ্যা মামলা সম্পর্কিত কিছু জানতে চাননি। আমিও কিছু বলিনি।’’ প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর ঐতিহাসিক অযোধ্যা মামলার রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন ওই বেঞ্চের অন্যতম সদস্য ছিলেন বর্তমান প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়।

ওই রায়ে অযোধ্যার মূল বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমি শিশু রাম বা ‘রামলালা’কে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। ২.৭৭ একরের বিতর্কিত জমি ঘিরে কেন্দ্রের অধিগৃহীত ৬৭ একর জমিও পেয়েছিল হিন্দু পক্ষ। মসজিদ নির্মাণের জন্য মুসলিম পক্ষকে অযোধ্যাতেই ৫ একর জমি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই রায় মেনেই নির্মিত হয় রামমন্দির। চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মন্দিরের উদ্বোধন করেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement