গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
কেরলের ওয়েনাড় লোকসভার উপনির্বাচনে আগামী বুধবার মনোনয়ন জমা দেবেন কংগ্রেস প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা। প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে মনোনয়ন পর্বে প্রিয়ঙ্কার সঙ্গী হবেন। সোমবার এআইসিসির তরফে এই ঘোষণা করা হয়েছে।
রাহুলের ছেড়ে দেওয়া ওয়েনাড় কেন্দ্রে আগামী ১৩ নভেম্বর উপনির্বাচন হবে। গণনা আগামী ২৩ নভেম্বর। মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচন এবং ১৫ রাজ্যের মোট দু’টি লোকসভা ও ৪৮টি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনের গণনাও হবে ওই দিন। প্রিয়ঙ্কাই প্রথম গান্ধী-নেহরু পরিবারের কোনও রাজনীতিক, যিনি শুধুমাত্র দক্ষিণ ভারত থেকে জীবনে প্রথম বার লোকসভা ভোটে লড়তে চলেছেন। রাহুল এবং তাঁর ঠাকুমা দক্ষিণ ভারত থেকে লোকসভা ভোটে লড়ে জিতলেও জীবনের প্রথম নির্বাচন উত্তরপ্রদেশ থেকে লড়েছিলেন। সনিয়া ১৯৯৯ সালে প্রথম বার লোকসভা নির্বাচনে লড়তে গিয়ে উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলীর পাশাপাশি কর্নাটকের বল্লারীকেও বেছে নিয়েছিলেন।
এ বারের লোকসভা ভোটে ওয়েনাড় এবং উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলী থেকে লড়েছিলেন রাহুল। দু’টি কেন্দ্রেই দাদার প্রচারে অংশ নিয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা। লোকসভা ভোটে দু’টি আসন থেকেই সাড়ে তিন লক্ষের বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন রাহুল। এর পর গত ১৭ জুন রায়বরেলী ধরে রেখে ওয়েনাড় ছাড়ার কথা ঘোষণা বলেছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে জানিয়েছিলেন, প্রিয়ঙ্কা ওই আসনে উপনির্বাচনে লড়বেন। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশের অমেঠী থেকে হেরে গেলেও কেরলের ওয়েনাড় জিতিয়েছিল রাহুলকে।
এ বার ওয়েনাড়ে প্রিয়ঙ্কার মূল লড়াই প্রাক্তন বিধায়ক তথা সিপিআইয়ের রাজ্য সহ-সম্পাদক সত্যন মোকেরি এবং বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সাধারণ সম্পাদক নব্যা হরিদাস। নব্যা কোঝিকোড় পুরসভার ভোটে দু’বার জয়ী হয়েছেন। গত এপ্রিলে লোকসভা নির্বাচনে ওয়েনাড়ে রাহুলের বিরুদ্ধে সিপিআইয়ের প্রার্থী ছিলেন দলের জাতীয় স্তরের নেত্রী অ্যানি রাজা। তিনি সিপিআই সাধারণ সম্পাদক ডি রাজার স্ত্রী। সূত্রের খবর, অ্যানি উপনির্বাচনে আর প্রার্থী হবেন না বলে দলকে আগেই জানিয়েছিলেন। পরিসংখ্যান বলছে, ২০০৯ সালের আসন পুনর্বিন্যাসে সৃষ্ট কেরলের ওয়েনাড় লোকসভায় কখনও হারেনি কংগ্রেস। ২০০৪ সালের লোকসভা ভোট থেকে নিয়মিত সনিয়া-রাহুলের প্রচারে অংশ নিলেও প্রিয়ঙ্কা আনুষ্ঠানিক ভাবে সক্রিয় রাজনীতিতে এসেছিলেন ২০১৯-এর জানুয়ারি মাসে। পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত এআইসিসি সাধারণ সম্পাদক হিসাবে।