কোঁকরাঝাড়ের নির্দল সাংসদ নবকুমার সারানিয়ার। ফাইল ছবি।
সদ্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন অসমের কংগ্রেস নেত্রী সুস্মিতা দেব। তৃণমূলের সঙ্গে কথাবার্তা চলছিল অসমের কোঁকরাঝাড়ের নির্দল সাংসদ নবকুমার সারানিয়ারও। বেশ কয়েক দফার বৈঠক হয়। শেষ পর্যন্ত তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বকে নবকুমার জানালেন, সরাসরি যোগদান নয়, তৃণমূলের সঙ্গে জোট গড়েই তিনি এবং তাঁর দল বিজেপি-বিরোধী লড়াই চান অসমে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয় বার বাংলা দখলের পরে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দায়িত্ব নেওয়ার পরই উত্তর-পূর্বের রাজ্য ত্রিপুরা ও অসমে সংগঠন গড়ার কাজে হাত দিয়েছেন তিনি। নানান কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে ত্রিপুরায় ইতিমধ্যেই আলোড়ন ফেলেছে তৃণমূল। এ সবের মধ্যেই অসমের সাংসদ নবকুমারকে তৃণমূলে যোগদানের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। প্রথমে অসম প্রদেশ তৃণমূলের পক্ষ থেকে সেই প্রস্তাব যায়। পরে সংসদের অধিবেশন চলাকালীন তৃণমূলের একাধিক সাংসদের সঙ্গে দিল্লিতে বৈঠক হয় নবকুমারের। তাঁর সঙ্গে কথা বলেন অভিষেকও।
অসমে নবকুমারের নেতৃত্বাধীন দলের নাম গণ সুরক্ষা পার্টি বা জিএসপি। কোঁকড়াঝাড় এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় জিএসপি-র সাংগঠনিক শক্তি এবং গণভিত্তি বেশ ভাল। নিজের সংগঠনে কথাবার্তার পর নবকুমার তৃণমূলকে জানিয়েছেন, অসমের স্থানীয় রাজনীতির সমীকরণ ধরে ভাবনাচিন্তার পর তাঁদের মনে হয়েছে, সরাসরি যোগদান না করে তৃণমূলের সঙ্গে জোট গড়ে লড়াই করাই তাঁদের পক্ষে শ্রেয়। আনন্দবাজার অনলাইনকে নবকুমার বললেন, “অনেক ভাবনা চিন্তা করার পরেই আমি তৃণমূল নেতৃত্বকে জোটের প্রস্তাব দিয়েছি। আমি নির্দল সাংসদ হলেও, আমার নিজের একটি দল রয়েছে। সেই দলে আমার সঙ্গীসাথীদের সঙ্গে আলোচনা করেই তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বকে জানিয়েছি আগামী লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে তাঁদের সঙ্গে জোট করেই আমরা লড়াই করব।”
নবকুমার মনে করছেন, অসমে তৃণমূলের সঙ্গে জোট গড়লে ফল ভাল হবে। কারণ, অসমের বাঙালিদের মধ্যেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তা প্রবল। এ ছাড়া, শিলচরের প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতা তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় শক্তি বেড়েছে মমতার দলের। অসমের স্থানীয় রাজনীতির সঙ্গে বাঙালিদের এই আবেগের সংমিশ্রণ ঘটাতে পারলে বিজেপি-কে হারানো সম্ভব বলে মনে করছেন নবকুমার।