নেতাজির ‘মৃত্যুবার্ষিকী’ নিয়ে টুইট রমেশ পোখরিয়াল এবং কংগ্রেসের
নেতাজির সুভাষচন্দ্র বসুর ‘মৃত্যুবার্ষিকী’-তে শ্রদ্ধা নিবেদন করে বিতর্কে জড়ালেন বিজেপি সাংসদ মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল। একই মর্মে নেতাজির ‘মৃত্যুবার্ষিকী’ নিয়ে জাতীয় কংগ্রেসের টুইটার হ্যান্ডেল থেকেও একটি টুইট করা হয়। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
বুধবার সকালে সাড়ে আটটা নাগাদ প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পোখরিয়াল টুইটে লিখেছেন, ‘‘আজাদ হিন্দের প্রতিষ্ঠাতা, ভারতের স্বাধীনতা লড়াইয়ের যোদ্ধা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে! দেশের জন্য তিনি যে লড়াই লড়েছেন, যে ত্যাগ করেছেন, তা যুবসম্প্রদায়ের কাছে অনুপ্রেরণা। জয় হিন্দ।’’ বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক বাড়তেই টুইটার হ্যান্ডেল থেকে কিছু ক্ষণ পর টুইটটি তুলে নিয়েছেন রমেশ পোখরিয়াল।
ঠিক তার পরেই কংগ্রেসের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে একটি টুইট করা হয়। লেখা হয়, ‘‘আজাদ হিন্দ ফৌজই দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের মোড় ঘুরিয়েছিল। জাতীয়তাবাদের ধারণায় বিশ্বাসী, ভারত মাতার সাহসী সন্তানরা নেতাজির নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতার জন্য সব কিছু ত্যাগ করে লড়াই করছিলেন। ভারত মাতার প্রিয় পুত্র নেতাজিকে তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে কংগ্রেস পরিবার।’’
বিষয়টি নিয়ে সরব হয়ে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষও একটি টুইট করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘‘প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আজই নেতাজির মৃত্যু হয়েছিল কি না, তার কোনও প্রমাণ নেই। কংগ্রেস এবং বিজেপি কেউই নেতাজির শেষ অবস্থা নিয়ে অনুসন্ধান চালায়নি। ভারত এবং বাংলার আবেগ নিয়ে খেলবেন না। প্রথমে প্রমাণ দিন, গোপন নথি প্রকাশ্যে আনুন।’’
১৯৪৫ সালের ১৮ অগস্ট অর্থাৎ এই দিনেই তাইওয়ানের তাইপেইতে বিমান দুঘর্টনা ঘটেছিল। কিন্তু সেই বিমান দুর্ঘটনাতেই নেতাজির মৃত্যু হয়েছিল কি না, তা নিয়ে এখনও তর্ক হয়েছে। তার মাঝেই নেতাজির ‘মৃত্যুবার্ষিকী’ ঘোষণা করে এই টুইট বিতর্ক আরও বাড়াল।