জিগ্নেশ মেবাণী। ফাইল চিত্র।
পুলিশের অনুমতি না নিয়ে মিছিল করার জন্য গুজরাতের বিধায়ক জিগ্নেশ মেবাণীর তিন মাস জেলের সাজা হল। গুজরাতের উনায় দলিত নিগ্রহের প্রতিবাদে ২০১৭-য় ‘আজাদি মিছিল’ করেছিলেন জিগ্নেশ এবং তাঁর সহযোগীরা। সেই অপরাধেই বৃহস্পতিবার তাঁর সাজা ঘোষণা করা হয়েছে।
কংগ্রেসের দলিত নেতা জিগ্নেশের সহযোগী সৌরভ পারমার, রেশমা পটেল-সহ আরও ন’জনেরও একই সাজার রায় দিয়েছে গুজরাতের মেহসানা আদালত। দোষীদের প্রত্যেককে হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে।
চলতি সপ্তাহেই অসমের এক মহিলা পুলিশকর্মীর শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে জিগ্নেশের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। জিগ্নেশের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে বরপেটা দায়রা আদালতের বিচারক অপরেশ চক্রবর্তী লিখেছিলেন, পুলিশের ওই মামলা ‘ভুয়ো’।
তার আগে নাথুরাম গডসে, গুজরাত হিংসা এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীকে নিয়ে গত সপ্তাহে একটি টুইট করার ‘অপরাধে’ গত ২০ এপ্রিল মধ্যরাতে জিগ্নেশকে গুজরাতে গ্রেফতার করেছিল অসম পুলিশ। কোকরাঝাড় আদালতে ওই মামলায় জামিন পাওয়ার পরেই মহিলা পুলিশকর্মীর শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ এনে ফের জিগ্নেশকে গ্রেফতার করে বিজেপি শাসিত অসমের পুলিশ।
গুজরাতের উনায় দলিত নিগ্রহের ঘটনার বর্ষপূর্তিতে ২০১৭-য় মেহসানা থেকে বানসকাঁটা পর্যন্ত ‘আজাদি মিছিল’ করেছিল ‘রাষ্ট্রীয় দলিত অধিকার মঞ্চ’। সংগঠনের নেতা হিসেবে জিগ্নেশও ওই কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন। কংগ্রেসের অভিযোগ, পরিকল্পিত ভাবেই ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’ মেটাতে চাইছে বিজেপি। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার জিগ্নেশ অভিযোগ করেছিলেন, গুজরাতের বিধানসভা নির্বাচন এগিয়ে আসছে বলে প্রধানমন্ত্রীর দফতর, গুজরাত ও অসমের বিজেপির সরকার তাঁর বিরুদ্ধে ‘মিলিত ষড়যন্ত্র’ করছে।