লেফটেন্যান্ট জেনারেল সামি সাদাত। ছবি: সংগৃহীত।
আফগানিস্তানে তালিবান বিরোধী লড়াইয়ের নয়া নেতার সন্ধান পেয়েছে আমেরিকা ও ব্রিটেন। প্রাক্তন আফগান সরকারের সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল সামি সাদাতের নেতৃত্বে দ্রুত প্রত্যাঘাত পর্ব শুরু হতে চলেছে বলে পশ্চিমী সামরিক সূত্রের দাবি।
চলতি মাসের গোড়ায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সামি জানান, ঈদের পরে নতুন করে আফগানিস্তানে গণতন্ত্র ফেরানোর লড়াই শুরু করবেন। তিনি বলেন, ‘‘এ বার ঐক্যবদ্ধ ভাবে আমরা তালিবানকে হঠাব।’’ আমেরিকার গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ এবং ব্রিটিশ গুপ্তচর সংস্থা এমআই-৬-এর তত্ত্বাবধানে ইতিমধ্যেই সেই তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রকাশিত একটি খবরে দাবি, আফগানিস্তানের পড়শি, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়েনের একটি প্রজাতন্ত্রের সীমান্ত ব্যবহার করে চলছে তালিবান বিরোধী লড়াইয়ের প্রস্তুতি।
দীর্ঘ দিন দক্ষিণ আফিগানিস্তানে তালিবান বিরোধী লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন সামি। আফগান সেনার অন্যতম দক্ষ সেনা আধিকারিক হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। গত অগস্টে তালিবান বাহিনীর দখলের সময় লন্ডন চলে গিয়েছিলেন তিনি। আন্তর্জাতিক অস্ত্র ব্যবসার সঙ্গেও সামির ‘যোগাযোগ’ রয়েছে।
তালিবান বিরোধী জোট নর্দার্ন অ্যালায়্যান্সের (পোশাকি নাম ‘ন্যাশনাল রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট অব অফ আফগানিস্তান’ বা এনআরএফও) নেতা আহমেদ মাসুদ এবং প্রাক্তন আফগান ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লা সালে তালিবান বিরোধী লড়াইয়ে সামির সহযোগী হয়েছেন বলেও ওই খবরে দাবি করা হয়েছে। সামি এবং মাসুদ দু’জনের লন্ডনের কিংস কলেজের যুদ্ধবিদ্যা বিভাগের প্রাক্তনী। দীর্ঘ দিন ধরেই পরস্পরের পরিচিত। অন্য দিকে, সালের বাহিনী এখনও উত্তর আফগানিস্তানের কিছু এলাকায় তালিবান বিরোধী লড়াই চালাচ্ছে। এপ্রিল মাসেও তাজিকিস্তান সীমান্তের অদূরে তখর এলাকায় তালিবানের সঙ্গে সালে বাহিনীর সংঘর্ষ হয়েছে।