গণধর্ষণে মূল অভিযুক্তের সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়েছিল বলে জানিয়েছে এক কিশোরী। প্রতীকী ছবি।
আত্মীয়দের সঙ্গে মেলা দেখতে শহরে গিয়ে ফেসবুকের এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করেছিল ত্রিপুরার দুই জনজাতি কিশোরী। অভিযোগ, মেলার ময়দান থেকে রাতে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে তাদের একে একে ধর্ষণ করেন ওই বন্ধু এবং তাঁর ৮ সঙ্গী। ভোরে কিশোরীদের শহরে পৌঁছে দিয়ে পালিয়ে যান তাঁরা। এই অভিযোগে পুলিশের দ্বারস্থ হলে ওই বন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়। বাকিরা পলাতক বলে শুক্রবার পুলিশ সূত্রে খবর। এই ঘটনায় দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিকে সরব হয়েছে ত্রিপুরার মহিলা কমিশন।
পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে ‘বৈশাখী মেলা’ দেখতে অমরপুর শহরে গিয়েছিল দুই কিশোরী। ১৬-১৭ বছরের ওই কিশোরীরা গোমতী জেলার বাসিন্দা। মেলার ময়দানে ১৯ বছরের এক যুবকের সঙ্গে দেখা করে তারা। ফেসবুকের মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল এক কিশোরীর। অভিযোগ, ওই কিশোরীদের প্রলোভন দেখিয়ে স্কুটারে করে চেচুয়া এলাকায় রবার গাছের জঙ্গলে নিয়ে যান তিনি। সেখানে আগে থেকেই অপেক্ষা করছিলেন তাঁর পরিচিত ৮ যুবক। বুধবার রাতে সেখানে ওই কিশোরীদের গণধর্ষণ করেন ফেসবুকের বন্ধু-সহ তাঁর সঙ্গীরা। এর পর ভোরে আবার অমরপুর শহরে কিশোরীদের নিয়ে যান তাঁরা। ভোরেই বীরগঞ্জ থানায় অভিযোগ করে কিশোরীরা। বৃহস্পতিবার ওই বন্ধুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ত্রিপুরার এআইজি জ্যোতিষ্মান দাস চৌধুরী সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেন, ‘‘গণধর্ষণে মূল অভিযুক্তকে পাকড়াও করা গেলেও বাকি ৮ অভিযুক্ত পলাতক।’’ তদন্তের অঙ্গ হিসাবে ওই কিশোরীদের মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
জনজাতিভুক্ত কিশোরীদের গণধর্ষণে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কড়া পদক্ষেপের দাবিতে সরব হয়েছেন ত্রিপুরা মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বর্ণালী গোস্বামী।