ইন্টারনেটে শিশু পর্নোগ্রাফি ঠেকাতে সক্রিয় দিল্লি পুলিশ। প্রতীকী ছবি।
ইন্টারনেটে শিশু পর্নোগ্রাফির দৌরাত্ম্য রুখতে ধারাবাহিক অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানাল দিল্লি পুলিশ। এ পর্যন্ত ‘অপারেশন মাসুম’ সাঙ্কেতিক নামের ওই অভিযানে ১০৫টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ৩৬ জনকে। বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন দিল্লি পুলিশের ‘ইন্টেলিজেন্স ফিউশন অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক অপারেশন’ (আইএফএসও) বিভাগের ডেপুটি কমিশনার প্রশান্ত গৌতম।
টুইটার-সহ কয়েকটি সামজিক মাধ্যমের বিরুদ্ধে শিশু পর্নোগ্রাফি সংক্রান্ত কনটেন্ট থাকার অভিযোগে গত বছর দিল্লি পুলিশের সাইবার অপরাধ দমন শাখার দ্বারস্থ হয়েছিল ‘জাতীয় শিশু অধিকার সংরক্ষণ কমিশন’ (এনসিপিসিআর)। কমিশনের অভিযোগের ভিত্তিতে টুইটারের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ‘দ্য প্রোটেকশন অব চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস’ (‘শিশু যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ আইন’ বা পকসো)-সহ নয়া তথ্যপ্রযুক্তি আইনের একাধিক ধারায় বেশ কিছু এফআইআর দায়ের করেছিল দিল্লি পুলিশ।
এর পর সাইবার নজরদারি চালিয়ে একাধিক মোবাইল নম্বরে শিশু পর্নোগ্রাফি ডাউনলোড করা এবং ছড়ানোর তথ্য সংগ্রহ করেন দিল্লি পুলিশের তদন্তকারীরা। বিভিন্ন কম্পিউটারে শিশু পর্নোগ্রাফি লেনদেন সংক্রান্ত তথ্যও মেলে। তারই ভিত্তিতে শুরু হয় ‘অপারেশন মাসুম’।
প্রশান্ত জানিয়েছেন, সামাজিক মাধ্যমে ‘শিশু যৌন নিগ্রহ এবং যৌন শোষণ’ সংক্রান্ত পোস্টের উপর নজরদারির জন্য ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম কর্তৃপক্ষের সাহায্য নিচ্ছেন তাঁরা। পাশাপাশি, এ সংক্রান্ত তথ্য পেতে ‘জাতীয় অপরাধ পরিসংখ্যান ব্যুরো’ (এনসিআরবি) এবং ‘ন্যাশনাল সেন্টার ফর মিসিং অ্যান্ড এক্সপ্লয়টেড চিলড্রেন’স (এনসিএমইসি)-এর সঙ্গে মউ সই করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইন্টারনেটে বাড়তে থাকা শিশু পর্নোগ্রাফির রমরমা রুখতে ২০১৯ সালে বিশেষ সেল গড়েছিল সিবিআই। ওই সেলের কাজ হল ইন্টারনেটে নজরদারির মাধ্যমে শিশু পর্নোগ্রাফি ছড়ানোর ঘটনা চিহ্নিত করা এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির, পকসো ও তথ্যপ্রযুক্তি আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা। শিশু পর্নোগ্রাফি ঠেকাতে কয়েক মাস আগে দেশ জুড়ে ‘অপারেশন মেঘ চক্র’ চালিয়েছিল সিবিআই।