সংসদে মাস্ক পরে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাজ্যসভার অধ্যক্ষ জগদীপ ধনখড়। ছবি: সংগৃহীত।
চিনে নতুন করে করোনা সংক্রমণের স্ফীতির জেরে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে ফিরে এল মাস্ক। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভার অধ্যক্ষ জগদীপ ধনখড়, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বস্ত্রমন্ত্রী পীযূষ গয়াল-সহ অনেক মন্ত্রী, সাংসদকেই মাস্ক পরে অধিবেশনে অংশ নিতে দেখা গিয়েছে। ঘটনাচক্রে, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’য় করোনাবিধি অনুসরণ করার জন্য কেন্দ্রের বার্তার পরেই দেখা গেল এই তৎপরতা।
২ দিন আগে রাহুল এবং রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতকে চিঠি লিখে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবীয় ভারত জোড়ো যাত্রায় করোনাবিধি মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। যদিও সে সময় পর্যন্ত সংসদ অধিবেশনে শাসক শিবিরের মন্ত্রী-সাংসদদের করোনাবিধি মানার কোনও চেষ্টা দেখা যায়নি। অথচ অক্টোবরের শেষ পর্বে প্রধানমন্ত্রী মোদীর রাজ্য গুজরাতে প্রথম খোঁজ মিলেছিল করোনাভাইরাসের নয়া চিনা উপরূপ ওমিক্রন বিএফ.৭-এর। তার পরেও ৩ জনের দেহে ওই অতি সংক্রামক উপরূপের সন্ধান মিলেছে। রাহুলের যাত্রায় কেন্দ্রের বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে বুধবার আপত্তি জানিয়েছিল কংগ্রেস।
২ বছর আগে করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় স্ফীতির গোড়ায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে গাফিলতির নানা অভিযোগ উঠেছিল। এ বার চিনে নয়া উপরূপের সন্ধান মেলার পরেই তৎপর হয়েছে কেন্দ্র। ভারতেও যাতে সংক্রমণের পুরনো ছবি আর ফিরে না আসে, তা নিশ্চিত করতে বুধবার বিকেলে বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবীয়, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ, নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) বিকে পল-সহ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা। তাঁদের সকলেরই মুখে ছিল মাস্ক।
গত ৭ ডিসেম্বর শুরু হয়েছিল সংসদের চলতি শীতকালীন অধিবেশন। এত দিন পর্যন্ত অধিকাংশ মন্ত্রী-সাংসদের মুখে মাস্কের চিহ্ন মেলেনি বলেই অভিযোগ। যদিও সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশের ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ ২টি টিকা নিলেও এখনও পর্যন্ত তৃতীয় টিকা বা বুস্টার নিয়েছেন মাত্র ২৭ শতাংশ। ফলে মাস্ক পরা নিয়ে এখনই শিথিলতার কোনও জায়গা নেই বলে মনে করছেন অতিমারি বিশেষজ্ঞদের একাংশ। রাহুলের যাত্রা ঘিরে কেন্দ্রের সতর্কবাণীর পরেই ‘শিথিলতা’ দূরে সরাল শাসক শিবির।