বালুচিস্তানে পাক সেনা অভিযান। ফাইল চিত্র।
পাক সেনাপ্রধান জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনিরের সফরের মধ্যেই বালুচিস্তানে সেনার সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত হয়েছে ২০ জনেরও বেশি জঙ্গি। অন্তত তেমনই দাবি করা হয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলিতে। গত ২৪ ঘণ্টায় দু’পক্ষের মধ্যে গুলির লড়াইয়ে ২৩ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। নিহত হয়েছেন নিরাপত্তাবাহিনীর ১৮ সদস্যের।
গত এক মাস ধরে খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বালুচিস্তানে জঙ্গিদমন অভিযান চালাচ্ছে পাক সেনা। শনিবার আফগানিস্তানের সীমান্তলাগোয়া জেলা বালুচিস্তানের কালাটে মূল রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছিল জঙ্গিরা। খবর পেয়ে পাক সেনা সেখানে অভিযানে যায়। তখনই শুরু হয় দু’পক্ষের গুলির লড়াই। শুক্রবার রাত থেকে শুরু হয় সংঘর্ষ। শনিবারও সেই লড়াই জারি থাকে। এক বিবৃতিতে পাক সেনা জানিয়েছে, রাতভর গুলির লড়াইয়ে ২৩ জঙ্গি নিহত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১৮ জন সেনারও।
পাক সেনার উপর হামলার দায় স্বীকার করেছে বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)। বিএলএ মুখপাত্র আজাদ বালোচ দাবি করেছেন, কালাটে হামলা অন্যতম সাফল্য তাঁদের। তবে আরও হামলা চালানোর হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। সেনাচৌকিগুলিতে হামলা চালানো হবে বলেও জানিয়েছেন আজাদ। তাঁর দাবি, কালাটে পাক সেনার উপর হামলা চালিয়েছে তাঁদের ১০০ সদস্য। তবে বিএলএ-র এই হামলার জবাব দেওয়া হবে বলে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পাক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জ়ারদারি এবং প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তাঁরা জানিয়েছেন, বালুচিস্তানে সেনা অভিযান জারি রাখা হবে।
গত জানুয়ারিতেই খাইবার পাখতুনখোয়ায় সেনার জঙ্গিদমন অভিযানে ৩০ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছিল বলে পাক সেনা দাবি করেছিল। লক্কী মরওয়াত, করক এবং খাইবার জেলায় তল্লাশি অভিযান চালানোর সময়েই জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় বাহিনীর।