Russia-Ukraine War

ডনেৎস্কে প্রত্যাঘাত ইউক্রেন সেনার, গোলায় গুরুতর জখম রাশিয়ার প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী!

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার আগেই রুশ জনগোষ্ঠী-গরিষ্ঠ ডনেৎস্ক ও লুহানস্ক (একত্রে দুই অঞ্চলকে ডনবাস বলা হয়)-কে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন পুতিন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মস্কো শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২২ ১০:৩৯
Share:

কিভে রুশ হামলার ‘জবাব’ ডনেৎস্কে দিল ইউক্রেন! ছবি: রয়টার্স।

দক্ষিণের খেরসনের পর এ বার পূর্ব সীমান্তের ডনেৎস্ক। রুশ ফৌজের হাত থেকে অধিকৃত অঞ্চল ছিনিয়ে নিতে নতুন করে অভিযানে নামল ইউক্রেন সেনা। রাজধানী কিভে ধারাবাহিক রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হানার মধ্যেই বুধবার ডনেৎস্কে প্রত্যাঘাত করল ভলোদিমির জ়েলেনস্কির বাহিনী। সেখানে ইউক্রেন সেনার গোলাবর্ষণে গুরুতর জখম হয়েছেন রুশ প্রশাসনের দুই উচ্চপদস্থ আধিকারিক।

Advertisement

রুশ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ডনেৎস্কের একটি হোটেলে বৈঠক করছিলেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অন্যতম উপদেষ্টা তথা সে দেশের প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি রোগোজ়িন। সে সময় হঠাৎ ইউক্রেন সেনার গোলা আছড়ে পড়ে। গুরুতর জখম হন রোগোজ়িন এবং মস্কো স্বীকৃত ‘সার্বভৌম’ ডনেৎস্ক পিপল্‌স রিপাবলিকের মুখ্য প্রশাসক ভিতালি খোটসেঙ্কো।

বুধবারই রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে আন্তর্জাতিক দুনিয়ার কাছে অস্ত্র-সাহায্যের আবেদন জানাতে আমেরিকা সফরে গিয়েছেন জ়েলেনস্কি। তাঁর অনুপস্থিতির মধ্যে ইউক্রেন সেনার এই প্রত্যাঘাত সামরিক দৃষ্টিকোণ থেকে তাৎপর্যপূর্ণ। রুশ অধিকৃত ডনেৎস্ক অঞ্চলের সামরিক উপদেষ্টার দায়িত্বে ছিলেন প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী রোগোজ়িন।

Advertisement

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার আগেই রুশ জনগোষ্ঠী-গরিষ্ঠ ডনেৎস্ক ও লুহানস্ক (একত্রে এই দুই অঞ্চলকে ডনবাস বলা হয়) অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন পুতিন। গত কয়েক বছর ধরে সেখানে মস্কো-পন্থী সশস্ত্র মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলি সক্রিয়। কিন্তু এখনও ডনবাসে নিরঙ্কুশ আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি মস্কো।

সেপ্টেম্বরের গোড়ায় ইউক্রেনের ডনবাসের পাশাপাশি জ়াপোরিজিয়া ও খেরসনের অধিকৃত অঞ্চলে গণভোট করিয়ে সেগুলিকে রাশিয়ার সঙ্গে সংযুক্তির ঘোষণা করেছিল পুতিনের সরকার। মস্কোর দাবি, ইউক্রনের ১৫ শতাংশ এলাকা জুড়ে বিস্তৃত ওই চারটি অঞ্চলেরই ৮০ শতাংশের বেশি অধিবাসী রাশিয়ার সঙ্গে সংযুক্তিকরণের পক্ষে মত দিয়েছিলেন।

২০১৪ সালে দক্ষিণ ইউক্রেনের ক্রাইমিয়াতে একই কায়দায় গণভোট করিয়ে দখল নিয়েছিল রাশিয়া। কিন্তু এ বার পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে অনেকটাই। ইউক্রেন ফৌজের তীব্র প্রত্যাঘাতে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে খেরসন ছেড়ে পিছু হটেছে রুশ ফৌজ। এ বার কি ডনেৎস্কের পালা?

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement