পুলিশ জানিয়েছে, কুপিয়ে খুনের ৩৭ সেকেন্ডের সেই ভিডিয়ো পাকিস্তানে এক ব্যক্তিকে পাঠিয়েছিলেন অভিযুক্তেরা। ছবি: সংগৃহীত।
দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতারের পর উত্তর দিল্লিতে উদ্ধার হয় তিনটি টুকরো করা একটি দেহ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহটি ২১ বছরের এক যুবকের। তিনি মাদকাসক্ত। হাতে ত্রিশূলের ট্যাটু রয়েছে। সেই দেখেই শনাক্ত করা হয়েছে দেহ। পাশাপাশি পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ওই যুবককে খুনের ভিডিয়ো পাকিস্তানে এক ব্যক্তিকে পাঠিয়েছিলেন দুই অভিযুক্ত। সেই ব্যক্তির লস্কর-এ-তইবার সঙ্গে যোগ রয়েছে।
দিল্লি পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, জগজিৎ সিংহ ওরফে জগ্গা এবং নৌশাদ ওই যুবকের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেছিলেন। ১৪-১৫ ডিসেম্বরে দিল্লির আদর্শ নগর থেকে তাঁকে নৌশাদের বাড়ি নিয়ে যান দু’জন বলে অভিযোগ। ভালস্ব ডেয়ারিতে থাকেন নৌশাদ। সেখানেই যুবককে কুপিয়ে খুন করে তাঁর দেহ আট টুকরো করেন দু’জন বলে অভিযোগ। কুপিয়ে খুনের ৩৭ সেকেন্ডের সেই ভিডিয়ো পাকিস্তানে এক ব্যক্তিকে পাঠিয়েছিলেন অভিযুক্তেরা। ওই ব্যক্তির নাম সোহেল। তাঁর সঙ্গে লস্কর-এ-তইবার সঙ্গে যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ।
পুলিশ তদন্তে জেনেছে, খুনের জন্য নৌশাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২ লক্ষ টাকা পাঠানো হয়েছিল। কাতারে নৌশাদের এক আত্মীয় থাকেন। তাঁর মাধ্যমেই পাঠানো হয়েছিল টাকা বলে জেনেছে পুলিশ। এই গোটা ঘটনার নেপথ্যে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের হাত রয়েছে কি না খুঁজে দেখছেন গোয়েন্দারা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত নৌশাদ এক জন জঙ্গি। খুন, রাহাজানি-সহ একাধিক মামলায় বহু দিন জেলে ছিলেন তিনি। জঙ্গিগোষ্ঠী হরকত উল-আনসারের সঙ্গেও তাঁর যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ। জেলেই লালকেল্লা হামলায় অভিযুক্ত আরিফ মহম্মদ এবং লস্কর জঙ্গি সোহেলের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। সোহেল ২০১৮ সালে পাকিস্তানে চলে যান। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের এপ্রিলে জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর সোহেলের সঙ্গে ফের যোগাযোগ করেন নৌশাদ। হিন্দুদের খুনের জন্য নৌশাদের উপর ভার দেন সোহেল। দ্বিতীয় অভিযুক্ত জগজিতের সঙ্গে যোগ ছিল খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের। সন্ত্রাসের সঙ্গে যোগ রয়েছে এই সন্দেহেই নৌশাদ এবং জগজিৎকে ভালস্ব ডেয়ারি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে এই ধরপাকড় করেছে পুলিশ।