ভেঙে পড়া বিমানের অবশিষ্টাংশ। ছবি: রয়টার্স।
খারাপ আবহাওয়ার কারণে নয়, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই বিমান দুর্ঘটনা হয়েছে। এমনই দাবি করল নেপালের বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল খারাপ আবহাওয়ার কারণেই দুর্ঘটনা। কিন্তু তদন্তে নামতেই জানা গিয়েছে, বিমানটি রানওয়ে ছোঁয়ার ঠিক আগের মুহূর্তেই ভেঙে পড়েছে। ফলে এ ক্ষেত্রে খারাপ আবহাওয়া দায়ী নয় বলেই দাবি মন্ত্রকের।
মন্ত্রক সূত্রে আরও দাবি করা হয়েছে, আবহওয়া ঝকঝকে ছিল। পোখরা উপত্যকায় আকাশও পরিষ্কার ছিল। তবে ব্ল্যাকবক্সের তথ্য থেকে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে বলে মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে। যাত্রিবাহী বিমানটি বিমানবন্দর ছোঁয়ার ১০ সেকেন্ড আগে ভেঙে পড়েছে বলে মন্ত্রক সূত্রে খবর।
এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) জানিয়েছে, পোখরা বিমানবন্দরের রানওয়ে পূর্ব-পশ্চিম দিক বরাবর। এটিসি-র দাবি, প্রাথমিক ভাবে পাইলটকে পূর্ব দিকে নামার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। পরে যদিও পাইলট পশ্চিম দিকে নামার জন্য এটিসির কাছে অনুমতি চান। তাঁকে নামার জন্য অনুমতিও দেওয়া হয়। কিন্তু রানওয়ে ছোঁয়ার ১০ সেকেন্ড আগেই সেটি ভেঙে পড়ে।
রবিবার সকালে ইয়েতি এয়ারলাইন্সের যাত্রিবাহী বিমান এটিআর-৭২ সেতি গন্ডকি নদীর ধারের জঙ্গলে ভেঙে পড়ে। বিমানে ক্রু সদস্য নিয়ে মোট ৭২ জন ছিলেন। বিমানটি কাঠমান্ডু থেকে পোখরা আসছিল। স্থানীয় সময় রবিবার সকাল ১০টা ৩৩ মিনিটে ত্রিভুবন বিমানবন্দর থেকে উড়েছিল এটিআর-৭২ বিমানটি। তাতে ৫৩ জন নেপালি, ৫ জন ভারতীয়, এক জন আয়ারল্যান্ডের বাসিন্দা, দু’জন কোরীয়, এক জন আর্জেন্টিনীয় এবং এক জন ফরাসি যাত্রী ছিলেন। সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, এই দুর্ঘটনায় ৬৭ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে।