ছবি সংগৃহীত
উত্তরপ্রদেশে জেলা পঞ্চায়েত (জেলা পরিষদ) চেয়ারম্যান নির্বাচনে বিরাট জয় পেল বিজেপি। দেশের সর্ববৃহৎ রাজ্যের ৭৫ জেলা পঞ্চায়েতের মধ্যে ৬৭-টিতে ইতিমধ্যেই ক্ষমতা দখল করেছে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের দল। অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টির ঝুলিতে এসেছে মাত্রটি ৬টি। অন্যেরা জিতেছে ২টিতে।
আগামী বছর যোগী রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই জয়কে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে গেরুয়া শিবির। যদিও রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, বিধানসভার ভোটে হাওয়া কোন দিকে ঘুরবে, তা এই জেলা পঞ্চায়েতের নির্বাচনের ফলাফল দেখা বোঝা সম্ভব নয়। কারণ গত ২০১৬ সালের জেলা পঞ্চায়ত প্রধানের নির্বাচনে ৬০টি আসন পেয়েছিল সপা। তার মধ্যে অর্ধেক আসনেই প্রার্থী দিতে পারেনি বিজেপি। তার পরই বিধানসভায় বিপুল আসন জিতে ক্ষমতায় এসেছিলেন যোগী আদিত্যনাথ। এ বারের নির্বাচনেও বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় ২১টি আসনে জিতেছে গেরুয়া শিবির।
গত মে মাসে রাজ্যের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ভোটে জেতা মোট আসন সংখ্যার হিসেবে বিজেপি-র সঙ্গে সমানে টক্কর দিয়েছিল অখিলেশের দল। রাজ্যের ৭৫টি জেলা পঞ্চায়েতের ৩,০৫০টি আসনের মধ্যে আপনা দল (এস)-এর মত জোটসঙ্গীদের নিয়ে বিজেপি-র ঝুলিতে গিয়েছিল ৯০০-র সামান্য বেশি। সহযোগীদের নিয়ে অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টিও প্রায় সমসংখ্যক আসন পেয়েছিল। বিএসপি প্রায় ৩১৫ এবং কংগ্রেস ১০০টির মতো আসনে জেতে। রাষ্ট্রীয় লোকদল এবং আম আদমি পার্টি পায় ৭০টি করে আসন। নির্দলেরা প্রায় হাজারের বেশি আসন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সরকারি ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে আদিত্যনাথ নির্দল অন্য দলগুলির জয়ী বেশ কিছু প্রার্থীকে কাছে টানেন বলে বিরোধীদের অভিযোগ।
শনিবার উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ-সহ একাধিক জায়গায় বিজেপি-র বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন সমাজবাদী পার্টির কর্মীরা। উত্তরপ্রদেশে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি স্বতন্ত্র দেব বলেন, ‘‘৭৫টি জেলার মধ্যে ৬৭টিতে জিতেছে বিজেপি। ২০২২ সালে বিধানসভা নির্বাচনেও আমরা জিতব।’’