বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও মুকুল রায়। নিজস্ব চিত্র।
বিজেপি ছাড়লেও, বিধানসভার আসন বণ্টনে সেই গেরুয়া শিবিরের কাছাকাছিই থাকতে হচ্ছে মুকুল রায়কে। শুক্রবার অধিবেশন শেষের পর বিধানসভা সূত্রে খবর, আসন বদল হতে পারে তাঁর।মুকুলের বসার জায়গা হতে পারে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কাছাকাছি কোথাও।
বিধানসভার প্রথম দিনের অধিবেশনে যোগ দিতে এসেছিলেন মুকুল। বসেছিলেন বিজেপি ও তৃণমূল পরিষদীয় দলের মধ্যবর্তী আসনে। বাজেট অধিবেশনের শুরুতে রাজ্যপালের ভাষণের সময় বিজেপি বিধায়করা বিক্ষোভ দেখালেও, বসেই ছিলেন মুকুল। রাজ্যপালের বক্তৃতা শেষ হতেই তিনি বেরিয়ে যান বিধানসভা ছেড়ে।
এরপরেই জানা যায়, আবারও বেশ কয়েকজন বিধায়কের আসন বদল করা হবে। সেই তালিকায় নাম রয়েছে কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়কের। করোনা সংক্রমণের কারণে সামাজিক দূরত্ব মেনেই বসার বন্দোবস্ত করা হয়েছে বিধায়কদের। সেই পদক্ষেপের কারণে মুকুল বসেছিলেন, গত বার সেখানে বসতেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী ও ডোমকলের সিপিএম বিধায়ক আনিসুর রহমান। বিধানসভা সূত্রে খবর, এবার মুকুলের আসন বদল করা হতে পারে। সেক্ষেত্রে বিজেপি পরিষদীয় দলের বিধায়করা যেখানে বসেন, সেখানেই তাঁর বসার ব্যবস্থা হতে পারে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাজ্যপালের ভাষনের সময় বিজেপি বিধায়কদের বিক্ষোভ চলাকালীন নিজের আসনেই বসছিলেন মুকুল। তাঁর উদ্দেশে কোনও কটু মন্তব্য করেননি বিজেপি পরিষদীয় দলের কোনও প্রতিনিধি। বরং অধিবেশন শুরুর আগে বিজেপি পরিষদীয় দলের মুখ্যসচেতক মনোজ টিগ্গা ও হবিবপুরের বিধায়ক জুয়েল মুর্মু মুকুলেরপায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন। এবার তৃণমূলে যোগ দিয়েও নিজের প্রাক্তন সতীর্থদের সঙ্গে বসার ব্যবস্থা হচ্ছে বিধানসভায়।