বুধবার পঞ্জাবে রাহুলের ভারত জোড়ো যাত্রা। ছবি: পিটিআই।
জম্মু ও কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরে আগামী ৩০ জানুয়ারি রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রার সমাপ্তি কর্মসূচি। তাতে যোগ দেওয়ার জন্য ২১টি অ-বিজেপি দলের নেতাদেরও আমন্ত্রণ জানাল কংগ্রেস।
দলের নেতা জয়রাম রমেশ এ কথা জানিয়ে টুইটারে লিখেছেন, ‘‘সম্প্রীতি ও সাম্যের বার্তাকে শক্তিশালী করতে মহাত্মা গান্ধীর মৃত্যু দিবসে ভারত জোড়ো যাত্রার সমাপ্তি কর্মসূচিতে ২১টি সহযোগী এবং সমমনোভাবাপন্ন দলের প্রধানদের আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে।’’
আমন্ত্রিতদের তালিকায়, কংগ্রেসের সহযোগী শিবসেনা, আরজেডি, জেডি(ইউ), বাম দলগুলির পাশাপাশি রয়েছে , তৃণমূল, তেলুগু দেশম, ভারত রাষ্ট্র সমিতি, সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি)-র মতো দল। কিন্তু ডাকা হয়নি আম আদমি পার্টি (আপ)-কে। খড়্গে বুধবার বলেন, ‘‘৩০ জানুয়ারি ভারত জোড়ো যাত্রার সমাবেশে বিপুল জনসমাগম হবে। বিজেপি বিরোধী অনেক দল যোগ দেবে এই কর্মসূচিতে।’’
কংগ্রেস সূত্রের খবর, জম্মু ও কাশ্মীরের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, ন্যাশনাল কনফারেন্সের ওমর আবদুল্লা এবং পিডিপির মেহবুবা মুফতি ভারত জোড়োতে যোগ দিতে পারেন। উপত্যকার জনপ্রিয় বাম নেতা মহম্মদ ইউসুফ তারিগামিও যোগ দেবেন রাহুলের কর্মসূচিতে। প্রসঙ্গত, এর আগে আমন্ত্রণ পেয়েও উত্তরপ্রদেশের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব (সমাজবাদী পার্টি) এবং মায়াবতী (বিএসপি) রাহুলের যাত্রা এড়িয়ে গিয়েছিলেন। একই কৌশল নিয়েছিলেন আম আদমি পার্টির নেতা তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালও।
গত ৭ সেপ্টেম্বর তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী থেকে ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু করেছিলেন রাহুল। ৫২ বছর বয়সে ভারতকে জোড়ার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে ১২টি রাজ্য এবং ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সাড়ে ৩ হাজার কিলোমিটারের বেশি পথ হেঁটেছেন তিনি। বস্তুত, ভারতের অন্তরাত্মার সন্ধানে টানা ৬ মাস ধরে প্রতিদিন গড়ে ৩০ কিলোমিটার করে পদযাত্রার যে রাজনৈতিক কর্মসূচি রাহুল নিয়েছেন, স্বাধীনতা-উত্তর ইতিহাসে তার কোনও তুলনা নেই।