খেলাধুলোয় নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে অভিনব ফটোশ্যুট আফগান মহিলা ফুটবলারদের। ছবি: এএফপি
দেড় বছর আগে তালিবান বাহিনী কাবুলের দখল নেওয়ার পর থেকেই মহিলাদের খেলাধুলোয় অংশগ্রহণ নিয়ে আশঙ্কা দেখা গিয়েছিল। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশ সত্যি হয়েছে সেই আশঙ্কা। গত বছর তালিবান সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রী আহমেদুল্লাহ ওয়াশিক স্পষ্ট ভাষায় বলে দিয়েছেন, ‘‘যে কোনও খেলা, যাতে শরীর দেখা যায় তা মহিলাদের জন্য নিষিদ্ধ।’’
কঠোর বিধিনিষেধের এই আবহেও গোপনে অনুশীলন জারি রেখেছিলেন আফগান মহিলা অ্যাথলেটদের অনেকে। কিন্তু সম্প্রতি তালিবান সরকার তাঁদের অনেককে ফোনে হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ। ২০ বছরের নোরার মতো অনেক মহিলা ক্রীড়াবিদ এমন হুমকির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রাক্তন এই ক্রীড়াবিদদের আশঙ্কা, তাঁরা তালিবান নিপীড়নের শিকার হতে পারেন। একটি সংবাদমাধ্যমকে গোপনে নোরা বলেছেন, ‘‘তালিবানের ক্ষমতা দখল আমার মতো অনেক মহিলা ক্রীড়াবিদের স্বপ্ন চুরমার করে দিয়েছে।’’
তালিবানের যুক্তি, মহিলাদের জন্য খেলা জরুরি ব্যাপার নয়। কারণ খেলতে গিয়ে অনেক সময়ই তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশ উন্মুক্ত হয়ে যেতে পারে। ইসলামে যা বারণ করা হয়েছে। শুধু খেলাধুলা নয়, কয়েক মাস আগে আফগানিস্তানের তালিবান সরকার মেয়েদের বিশ্ববিদ্যালয় যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বেসরকারি সংস্থায় মহিলাদের কাজ করা, পার্ক এবং জিমে প্রবেশের ক্ষেত্রে, এমনকি, রাস্তাঘাটে মেয়েদের একা চলাফেরার বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি হয়েছে আগেই।