Mohammed Shami

ইডেনে নামার আগে শামির মুখে কঠিন সময়ের কথা, ১৫ বছর পর ঘুড়ি ওড়ালেন জোরে বোলার

এক বছরেরও বেশি লেগে গিয়েছে চোট সারাতে। আবার জাতীয় দলের জার্সি গায়ে নামছেন মহম্মদ শামি। ঘরের মাঠ ইডেন গার্ডেন্সেই হচ্ছে সেই প্রত্যাবর্তন। তার আগে শামির মুখে ফেলে আসা সময়ের কথা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৫ ১৫:১৫
Share:

ইডেনে অনুশীলনে মহম্মদ শামি। ছবি: পিটিআই।

এক বছরেরও বেশি লেগে গিয়েছে চোট সারাতে। মাঝে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং অস্ট্রেলিয়া সফরে খেলতে পারেননি। আবার জাতীয় দলের জার্সি গায়ে নামছেন মহম্মদ শামি। ঘরের মাঠ ইডেন গার্ডেন্সেই হচ্ছে সেই প্রত্যাবর্তন। তার আগে শামির মুখে ফেলে আসা সময়ের কথা। পাশাপাশি জোরে বোলারকে দেখা গিয়েছে ঘুড়ি ওড়াতে।

Advertisement

ভারতীয় বোর্ডের পোস্ট করা একটি ভিডিয়োয় শামি বলেছেন, “এক বছর অপেক্ষা করেছি এবং কঠোর পরিশ্রম করেছি। দৌড়নোর সময় ভয় লাগত, আবার না চোট পেয়ে যাই। ভাল ফর্মে থাকার সময়ে যে কোনও ক্রিকেটারের কাছে চোট পাওয়া খুব দুর্ভাগ্যজনক। তার পরে এনসিএ-তে যাওয়া এবং ফিরে আসার চেষ্টা করা, বেশ কঠিন একটা কাজ। তবে আমার মনে হয়, চোট পেলে ক্রীড়াবিদ হিসাবে নিজেকে আরও শক্তিশালী করে যায়। কারণ মনের দিক থেকে নিজেকে শক্ত রেখে একই কাজ বার বার করে যেতে হয়।”

জাতীয় দলের হয়ে নামার আগে বাংলার হয়ে তিন ফরম্যাটেই খেলেছেন শামি। তবে গত এক বছর মোটেই সহজ ছিল না তাঁর কাছে। শামির কথায়, “উইকেট পেলে বা রান করলে সবাই আপনার পাশে থাকবে। কিন্তু কঠিন সময়ে কে রয়েছে সেটা বোঝাই আসল। কঠিন সময়ে পাশে থাকা মানুষদের খুঁজে বার করাই আসল পরীক্ষা। যা হয়েছে হয়েছে। আমি সেই পর্ব কাটিয়ে এসেছি। এটুকু জানি, পরিশ্রম না করলে ফল মিলবে না।”

Advertisement

শামির সংযোজন, “ছোটবেলায় বাবা-মা আমাদের শেখাতেন কী ভাবে হাঁটতে হয়। কখনও উঠে দাঁড়াতাম, কখনও পড়ে যেতাম। কিন্তু হাল ছাড়তাম না। এই খিদেটা যেন সব সময়ে থাকে। পড়ে গেলেও উঠে দাঁড়ানোর ক্ষমতা রাখতে হবে। খেলাধুলোর ক্ষেত্রেও একই জিনিস বলব। চোট পেলেও দলে ফেরার জন্য সব সময় চেষ্টা করে যেতে হবে।”

কলকাতায় ভারতীয় দল যে হোটেলে রয়েছে সেখানকার ছাদে গিয়ে শামিকে ঘুড়ি ওড়াতে দেখা গিয়েছে। পুরনো কথাও মনে পড়েছে ভারতীয় বোলারের। বলেছেন, “অনেক দিন পর ঘুড়ি ওড়ালাম। ১৫ বছর তো হবেই। আসলে ঘুড়ি ওড়ানোর সময়ই পাই না। আমার হাতে শুধু বল থাকে। আমি জানি কী ভাবে ভারসাম্য রেখে ঘুড়ি ওড়াতে হয়। এই ভারসাম্য ক্রিকেটেও দরকার। ক্রিজ়ে টিকে থাকলে রান পাবেন। বোলিংয়ে ছন্দ পেলে উইকেট পাবেন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement