রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিধ্বস্ত বাখমুট। ছবি: রয়টার্স।
রুশ ফৌজের নিরন্তর হানায় গোটা শহর কার্যত ধ্বংসস্তূপ। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে লাশ। কার্যত মৃতনগরীতে পরিণত হয়েছে পূর্ব ইউক্রেনের বাখমুট শহর। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলেও এত দিন প্রাণপণ লড়াই জারি রেখেছিল ইউক্রেনের সেনা। তবে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির অনুগতদের একাংশ স্বীকার করে নিচ্ছেন— আর বেশি দিন নয়।
কারণ, যে পরিমাণ অস্ত্র মজুত, তা দিয়ে আর ক্ষেপণাস্ত্র, ট্যাঙ্ক, সাঁজোয়া গাড়িতে সওয়ার রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করা সম্ভব নয় বলে ওই অংশের মত। যদিও সোমবার জ়েলেনস্কি জানিয়েছেন, ডনেৎস্কের বাখমুটের দখল এখনও তাঁদের হাতেই রয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত প্রতিরোধের লড়াই চালিয়ে যাবে ইউক্রেন সেনা।
শুধু বাখমুট নয়, পূর্ব ইউক্রনের ডনবাস (পূর্ব ইউক্রেনের ডনেৎস্ক এবং লুহানস্ক অঞ্চলকে একত্রে এই নামে ডাকা হয়) অঞ্চলের ক্রামাতোরস্ক থেকে সোলেদার পর্যন্ত অনেক শহরেই চলছে প্রবল শীতে আগ্রাসনকারী রুশ ফৌজের বিরুদ্ধে ইউক্রেন সেনার মরণপণ লড়াই। যা মনে করাচ্ছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বরফে ঢাকা স্তালিনগ্রাডে আগ্রাসী জার্মান বাহিনীর বিরুদ্ধে সোভিয়েত সেনার প্রতিরোধের লড়াইকে।
রুশ বাহিনীর সহযোগী মিলিশিয়া যোদ্ধাদের গোষ্ঠী ওয়াগনারও ইউক্রেন সেনার প্রতিরোধের লড়াইয়ের কথা স্বীকার করেছে। ওয়াগনার গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা ইয়েভজেনি প্রিগোজিন বলেছেন, ‘‘গত এক মাস ধরে সোলেদার (বাখমুটের ১৫ কিলোমিটার দূরের শহর) পশ্চিমের যুদ্ধক্ষেত্রে সফল ভাবে প্রতিরোধের লড়াই চালাচ্ছে ইউক্রেন সেনা।’’ কিন্তু কিভের বার বার আবেদন সত্ত্বেও আমেরিকা এবং ইউরোপের দেশগুলির তরফে পর্যাপ্ত অস্ত্র ও গোলাবারুদের সরবরাহ আসছে না বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে ডনবাসের অনেক এলাকাতেই আগামী কয়েক মাসে রুশ পতাকা ওড়ার আশঙ্কা করছে পশ্চিমি দুনিয়া।