বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন উড়ান সংস্থার বিমান। —ফাইল চিত্র।
একের পর এক বিমানে ভুয়ো বোমাতঙ্কের ঘটনায় উদ্বিগ্ন কেন্দ্র। সেই ধারা এখনও অব্যাহত। বৃহস্পতিবারও বিভিন্ন উড়ান সংস্থার কাছে এই ধরনের ভুয়ো হুমকির তথ্য গিয়েছে। ইন্ডিগো, এয়ার ইন্ডিয়া, ভিস্তারা, স্পাইসজেট, অ্যালায়েন্স এয়ার এবং আকাসা এয়ার উড়ান সংস্থা মিলিয়ে অন্তত ৯৫টি বিমানে বোমার হুমকি গিয়েছে। এই নিয়ে গত ১০ দিনে আড়াইশোর বেশি বিমানে বোমা সংক্রান্ত হুমকি তথ্য গিয়েছে।
আধিকারিক সূত্রে খবর, আকাসা এয়ারের ২৫টি বিমানে বৃহস্পতিবার এই ধরনের হুমকি গিয়েছে। পাশাপাশি এয়ার ইন্ডিয়া, ইন্ডিগো এবং ভিস্তারা উড়ান সংস্থার ২০টি করে বিমানে হুমকি গিয়েছে। স্পাইস জেট এবং অ্যালায়েন্স এয়ারেরও পাঁচটি করে বিমানে হুমকি গিয়েছে। বৃহস্পতিবারের এই বোমাতঙ্কগুলির আগে পর্যন্ত ১৭০টি বিমানে বোমা থাকার ভুয়ো হুমকি ছিল। এই ঘটনায় বিমানে ভুয়ো বোমাতঙ্কের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়ে হল অন্তত ২৬৫।
সাম্প্রতিক এই বোমাতঙ্কগুলির বেশির ভাগই ছড়িয়েছিল সমাজমাধ্যম থেকে। যার জেরে একাধিক বিমান বাতিল হয়েছে। কোনওটির যাত্রাপথ বদল হয়েছে। পরে দেখা গিয়েছে, সবই ভুয়ো বোমাতঙ্ক। সাম্প্রতিক এই ঘটনাগুলিতে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রও। ভুয়ো বোমাতঙ্কে অভিযুক্তদের উড়ান সংস্থার ‘নো ফ্লাই লিস্ট’-এ অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনাও চলছে। এই তালিকায় থাকার অর্থ সংশ্লিষ্ট উড়ান সংস্থার কোনও বিমানে তাঁরা উঠতে পারবেন না। বেসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী রামমোহন নায়ডুও জানিয়েছেন, বিমানে ভুয়ো বোমাতঙ্ক ছড়ানো অপরাধ হিসাবে গ্রাহ্য হবে।
ভুয়ো বোমাতঙ্কের ঘটনায় দিল্লি পুলিশ এখনও পর্যন্ত আটটি মামলা রুজু করেছে। সাম্প্রতিক ঘটনাগুলির প্রেক্ষিতে বিভিন্ন উড়ান সংস্থাকে নিয়ে বৈঠকও করেছে অসামরিক বিমান নিরাপত্তা সংস্থা ব্যুরো অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন সিকিয়োরিটি (বিসিএএস)।