গুজরাতে অবিলম্বে নির্বাচনের দাবি জানালেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ফাইল চিত্র।
চলতি বছরের শেষেই গুজরাতে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে মোরবীতে সেতু বিপর্যয় ঘিরে সে রাজ্যে রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে। রবিবার মাচ্ছু নদীতে শতাব্দীপ্রাচীন সেতু ভেঙে দুর্ঘটনায় গুজরাতের বিজেপি সরকারকে নিশানা করলেন আম আদমি পার্টির প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বললেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন করতে হবে।’’
চলতি বছরের শুরুতে দিল্লির বাইরে প্রথম বার পঞ্জাবে সরকার গড়েছে কেজরির আপ। সেই সাফল্যকে সঙ্গে নিয়ে এ বার মোদী-রাজ্যে লড়াইয়ের ডাক দিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই গুজরাতে প্রচারে ঝড় তুলেছে কেজরির দল। এই প্রেক্ষাপটে ভোটের আগে বিজেপিকে নিশানা করতে সেতু বিপর্যয় কেজরির হাতে অস্ত্র হিসাবে উঠে এসেছে।
মঙ্গলবার এই প্রসঙ্গে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন যে, দুর্নীতির কারণেই মোরবীতে এই মর্মান্তিক পরিণতি হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, যে সংস্থা ঘড়ি বানায়, তাদের কেন সেতু সংস্কারের দায়িত্ব দেওয়া হল। তিনি বলেছেন, ‘‘যে সংস্থা ঘড়ি বানায়, তাকেই কিনা সেতুর টেন্ডার দেওয়া হল? তার মানে ওই সংস্থার সঙ্গে বিজেপির যোগসূত্র রয়েছে। এফআইআরে সংস্থা ও তার মালিকের নামও নেই।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, ওই সংস্থার মালিকের থেকে মোটা টাকার অনুদান পেয়েছে রাজ্যের শাসকদল। এই সব অভিযোগ যাতে খতিয়ে দেখা হয়, তার জন্য তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন আপ নেতা।
গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেলকে আক্রমণ করে কেজরি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকার আর কোনও অধিকার নেই। ওঁর অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত। অবিলম্বে নির্বাচন করা হোক।’’
প্রসঙ্গত, রবিবার সন্ধ্যায় মোরবীতে ব্রিটিশ আমলের তৈরি ঝুলন্ত সেতু ভেঙে ১৪১ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। যে সময় এই বিপর্যয় ঘটে, তখন সে রাজ্যেই ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার মোরবী যাওয়ার কথা নমোর। তার আগে এই সেতু দুর্ঘটনাকে হাতিয়ার করে যে ভাবে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হলেন কেজরি, তা ভোটের আগে সে রাজ্যের রাজনীতিতে আলাদা তাৎপর্য পেয়েছে।