বিরোধী জোট নিয়ে নয়া দাবি ‘দায়িত্বপ্রাপ্ত’ নীতীশের। ফাইল চিত্র।
সবাই প্রস্তুত। সব দল নিজেদের মধ্যে কথা বলছে। বিরোধী জোট নিয়ে এমনই জানালেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। শুক্রবার অম্বেদকর জয়ন্তীর একটি অনুষ্ঠানে জেডি(ইউ) নেতা বলেন, “বিরোধী জোটগঠনে সব রাজনৈতিক দল রাজি। তারা নিজেদের মধ্যে কথা বলাও শুরু করেছে। খুব শীঘ্রই দলগুলি কাছাকাছি আসবে।” নীতীশের এই বক্তব্যকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। কিছু দিন আগেই দিল্লি সফরে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং মল্লিকার্জুন খড়্গের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন নীতীশ। সঙ্গে ছিলেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি নেতা লালুপ্রসাদ যাদবের পুত্র তেজস্বী যাদবও। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে বিরোধী দলগুলির সঙ্গে জোট নিয়ে আলোচনা করার জন্য নীতীশকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
বিরোধী দলগুলির মধ্যে অধিকাংশই বিজেপির বিরুদ্ধে জোটগঠনে রাজি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন নীতীশ। তবে তৃণমূল এবং বিআরএস-কে নিয়ে এখনও প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে। বাংলা এবং তেলঙ্গানায় তৃণমূল এবং বিআরএসের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস। তা ছাড়া সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ফল ঘোষণার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল একাই লড়বে। তবে নীতীশের দাবি, সব বিরোধী দলই একসঙ্গে আসবে। এই প্রসঙ্গে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমার লক্ষ্য সব বিরোধী দলকে আলোচনার টেবিলে বসানো।”
বিরোধিতা ছেড়ে আদানি প্রসঙ্গে সংসদে কংগ্রেসের সঙ্গে কক্ষ সমন্বয় করেছে অরবিন্দ কেজরীওয়ালের আপ-ও। এই আবহে তৃণমূল এবং বিআরএস নেতৃত্বের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন নীতীশ। সূত্রের খবর, তৃণমূল নেত্রী মমতা এবং বিআরএস প্রধান তথা তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে তাঁদের বৃহত্তর জোটে শামিল করার চেষ্টা চালিয়ে যাবেন নীতীশ।