‘এনকাউন্টার’ নিয়ে নয়া দাবি উত্তরপ্রদেশ পুলিশের। ফাইল চিত্র।
উত্তরপ্রদেশের ‘গ্যাংস্টার’ আতিক আহমেদের পুত্র আসাদের ‘এনকাউন্টারে’ মৃত্যু নিয়ে এ বার প্রকাশ্যে এল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বক্তব্য। উমেশ পাল হত্যার ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত আসাদ এবং তাঁর সঙ্গী গুলামের সঙ্গে ‘এনকাউন্টার’ বা সংঘর্ষের পরেই একটি এফআইআর দায়ের করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। সেখানে রাজ্য পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, জীবিত অবস্থাতেই আসাদ এবং তার সঙ্গীকে ধরতে চেয়েছিল তারা।
পুরো ঘটনার বিবরণ দিয়ে বলা হয়েছে, ঝাঁসি এলাকায় একটি মোটরবাইকে করে পালাচ্ছিলেন আসাদ এবং তাঁর সঙ্গী। পুলিশের জিপ প্রায় দেড় কিলোমিটার পিছু ধাওয়া করে তাঁদের নাগাল পায়। পুলিশের দাবি, গাড়ি থেকে চিৎকার করে তাঁদের থামতে বলা হলেও লাভ হয়নি। পুলিশের বয়ান অনুযায়ী, নজর এড়াতে পাকা রাস্তা থেকে নেমে একটি কাঁচা মাটির রাস্তা ধরেন দু’জন। তারপরই উল্টে যায় তাঁদের বাইকটি। পুলিশের বক্তব্য, তারা জায়গাটি ঘিরে ফেললে গুলি চালাতে থাকেন আসাদরা। পুলিশের আরও দাবি, প্রাণের ভয় থাকলেও অভিযুক্তদের লক্ষ্য করে গুলি না চালিয়ে জীবিত অবস্থায় ধরার চেষ্টা হয়। এই অবস্থায় আসাদরা এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করলে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। পুলিশ এই প্রসঙ্গে জানিয়েছে,আসাদরা আহত হওয়ার পর তড়িঘড়ি দু’জনকে আলাদা দু’টি অ্যাম্বুলেন্সে তুলে হাসপাতালে পাঠানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই এফআইআরে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পিস্তল, বুলেট শেল, মোটরবাইক এবং অন্যান্য তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আতিক জেলে যাওয়ার পর থেকেই পরিবারের ব্যবসা সামলাচ্ছিলেন আসাদ। তবে কোনও বড় সিদ্ধান্ত নিতে হলে আতিকের স্ত্রী শায়িস্তা পরভিনই তা ঠিক করতেন। উমেশ পালের হত্যার ঘটনার পর থেকে শায়িস্তাও এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। অন্য দিকে, আসাদের সঙ্গী গুলামও ইলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। কিন্তু পড়াশোনা ভাল লাগত না তাঁর। কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ছাত্রনেতা ছিলেন গুলাম। তার পর ধীরে ধীরে ভিড়ে যান গ্যাংস্টারের দলে।