তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে সিবিআই হানা। নিজস্ব চিত্র।
মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে হানা দিল সিবিআই। কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে বৃহস্পতিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে বিধায়কের বাড়িতে হানা দেন সিবিআইয়ের তিন গোয়েন্দা। বিধায়কের অফিস-সহ একাধিক জায়গা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ভিতর থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বাড়ির দরজা।
সিবিআইয়ের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধায়কের বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে। তল্লাশিতেও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি মিলেছে বলে দাবি করেছে গোয়েন্দাদের ওই সূত্র।
কেন্দ্রীয় সংস্থার সূত্রের দাবি, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করে স্থানীয় এজেন্ট কৌশিক ঘোষের সম্পর্কে জানতে পারেন তদন্তকারীরা। সেই কৌশিকের সূত্র ধরেই জীবনকৃষ্ণের নাম উঠে এসেছে। তার পরেই বিধায়কের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বড়ঞার কোগ্রামের বাসিন্দা কৌশিক বিধায়কের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলেই পরিচিত। দলীয় কর্মসূচি ছাড়াও একাধিক পারিবারিক অনুষ্ঠানেও কৌশিকের বাড়িতে দেখা গিয়েছে জীবনকৃষ্ণকে। দু’জনের একসঙ্গে ছবি রয়েছে সমাজমাধ্যমে। ঘটনাচক্রে, সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে জীবনকৃষ্ণ সাহার এক আত্মীয় ও কৌশিকের দুই দিদির। জীবনকৃষ্ণ ও কৌশিকের মধ্যে ‘ঘনিষ্ঠতা’ ছিল বলে দাবি করেছেন কৌশিকের আত্মীয় অসিত ঘোষও। তিনি বলেন, ‘‘জীবনকৃষ্ণ সাহা ও কৌশিক ঘোষ রীতিমতো দোকান ফেঁদে চাকরি বিক্রি করেছে। কত মানুষ টাকা দিতে এসেছে, কত মানুষ টাকা ফেরত নিতে বাড়িতে ধর্না দিয়েছে— সব নিজের চোখে দেখেছি। বিধায়ক তো প্রায়ই কৌশিকের বাড়ি আসতেন। এটা লুকোনোর কী আছে!’’
সিবিআই অভিযান চলাকালীনই জীবনকৃষ্ণের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে আনন্দবাজার অনলাইন। তিনি বলেন, ‘‘কৌশিক ঘোষ আমার ঘনিষ্ঠ নন। অনেকেই বিধায়কের কাছে আসেন। ছবি তোলেন। কৌশিক ঘোষও সেই ভাবেই ছবি তুলেছেন।’’