Kabul

Afghanistan Crisis: দিল্লির ‘লিটল কাবুল’-এ আফগানদের হোটেলগুলি মাছি তাড়াচ্ছে

দিল্লিতে রয়েছেন যে আফগানরা, অর্থনৈতিক চিন্তায় তাঁরাও আর বিশেষ পা বাড়াচ্ছেন সেই হোটেল, রেস্তোরাঁগুলির দিকে। ফলে, লাজপত নগরের রং এখন ফিকে হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৮:৩৮
Share:

দিল্লির লাজপত নগরের আফগান রেস্তোরাঁ। ছবি- টুইটারের সৌজন্যে।

কাবুল তালিবানের হাতে যাওয়ার পর থেকেই রং হারিয়ে ফেলেছে দিল্লির ‘লিটল কাবুল’। দক্ষিণ দিল্লির লাজপত নগর। সাতের দশকের শেষের দিক থেকে আফগান শরণার্থীদের ভিড়ে লাজপত নগর হয়ে উঠেছিল কাবুলের এক ছোত সংস্করণ। সেখানকার বেশির ভাগ বাসিন্দার মূল উপার্জন ছিল ছোট, মাঝারি হোটেল, আর রেস্তোরাঁর ব্যবসা। ছিল ছোটখাটো বেকারির ব্যবসাও। কিন্তু সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে যাঁরা আফগান মুলুকে গিয়েছিলেন, তাঁদের অনেকেই সেখান থেকে ভারতে এখনও ফিরে আসতে পারেননি বলে দিল্লির লিটল কাবুলের ছোট, মাঝারি হোটেল, রেস্তোরাঁগুলি এখন কার্যত মাছি তাড়াচ্ছে। দিল্লিতে রয়েছেন যে আফগানরা, অর্থনৈতিক চিন্তায় তাঁরাও আর বিশেষ পা বাড়াচ্ছেন সেই হোটেল, রেস্তোরাঁগুলির দিকে। ফলে, লাজপত নগরের রং এখন ফিকে হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

লাজপত নগরের বিখ্যাত কাবুল দিল্লি রেস্তোরাঁর মালিক হাশমত বললেন, “দিনে, রাতে সব সময় আমার রেস্তোরাঁয় ভিড় থাকত। বসার জায়গা পাওয়া যেত না। বাইরে লম্বা লাইন পড়ে যেত আফগান খাবারের জন্য। ফোনে অর্ডার আসত খাবার পৌঁছে দেওয়ার জন্য। আফগানরাই আসতেন বেশি। এখন আমরা মাছি তাড়াচ্ছি।”

একই কথা বললেন বেকারির ব্যবসা করে সাত জন সদস্যের পরিবার টানা ১৯ বছর বয়সি নাজিবুল্লাও। তাঁর কথায়, “দিল্লিতে ঘরভাড়া নিয়ে থাকি। ভাড়াও কম নয়। এ ভাবে চললে ভাড়া মেটাতে পারব কি না জানি না।”

Advertisement

কেন এই অবস্থা?

আফগানিস্তানের ডেমোক্র্যাটিক পিপল্‌স পার্টির নেতা নিসার আহমেদ শেরজাই বলেছেন, “এর মূলত দু'টি কারণ রয়েছে। এই হোটেল, রেস্তোরাঁগুলির মূল খরিদ্দার আফগানরাই। যাঁরা থাকেন লাজপত নগরে। এঁদের অনেকেই দেশে গিয়েছিলেন আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে। তাঁরা আটকে পড়েছেন আফগানিস্তানে। ফিরে আসতে পারেননি। যাঁরা দিল্লিতে আছেন, তাঁরাও খুব উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছেন। দেশের জমিজায়গা, সম্পত্তি নিয়ে। সেগুলি তালিবদের হাতে এ বার চলে যেতে পারে ভেবে। তাই তাঁরাও এখন আর পা মাড়াচ্ছেন না লাজপত নগরের হোটেল, রেস্তোরাঁগুলিতে।” প্রসঙ্গত, শেরজাই নিজেও লাজপত নগরেরই একটি রেস্তোরাঁর মালিক। পাঁচ বছর আগে তিনি ভারতে চলে আসেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement