ছবি: রয়টার্স
কন্দহর ও হেরাটে ভারতীয় দূতাবাসে লুঠপাট চালাল তালিবান। এই দুই শহরের দূতাবাস থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি অভিযোগ, দূতাবাসের সামনে থাকে গাড়িও ছিনতাই করেছে তালিবান। এই দু’টি দূতাবাসই বন্ধ ছিল।
কাবুল দখলের পর থেকে শহরের প্রায় প্রতি দরজায় হানা দিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে তালিবান। খোঁজ করা হচ্ছে সেই কর্মীদের, যাঁরা আফগানিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে কাজ করেছেন। এই জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থায় আফগান সরকারের এক শক্তিশালী গোয়েন্দা বিভাগ রয়েছে। তালিবান সেই বিভাগের গুপ্তচরদের সন্ধান চালাচ্ছে।
আফগানিস্তানে ভারতের চারটি দূতাবাস রয়েছে। কাবুল ছাড়াও কন্দহর, হেরাট ও মাজার-ই-শরিফে ভারতের দূতাবাসগুলি কাজ করে। তালিবান ক্ষমতা দখল করার আগে থেকেই অশান্তির আঁচ পেয়ে এই দূতাবাসগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তালিবান ক্ষমতা দখল করার পর মঙ্গলবার কাবুল থেকে ১৭০ জনকে উদ্ধার করে ভারত। উদ্ধার করা হয় ভারতের রাষ্ট্রদূত, দূতাবাসের কর্মী ও সেই সব ভারতীয়দের, যাঁরা আফগানিস্তানের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিলেন। উদ্ধার করা হয় ভারতীয় সাংবাদিকদেরও। যদিও এখনও আফগানিস্তানে বেশ কয়েকজন ভারতীয় আটকে রয়েছেন। আফগানিস্তানে ভারতের রাষ্ট্রদূত রুদ্রেন্দ্র ট্যান্ডোন জানিয়েছেন, ২০০ জনকে শেষ তিনদিনে উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি সাধারণ ভারতীয় নাগরিকদেরও ফিরিয়ে আনা হয়েছে।