আচমকা বাজ পড়ে আহত তিন পড়ুয়া। —প্রতীকী চিত্র।
অনলাইন ক্লাস রয়েছে। কিন্তু কিছুতেই নেটওয়ার্ক পাচ্ছিল না তিন পড়ুয়া। একটু উঁচুতে গেলে নেটওয়ার্ক ভাল পাওয়া যাবে, ওই ভেবে গ্রামের পাশে টিলায় উঠেছিল তিন বন্ধু। কিন্তু আচমকা বজ্রপাতে গুরুতর জখম হল তিন বন্ধু। ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার কন্ধমল জেলার মুণ্ডগ্রাম এলাকায়।
ওড়িশার রাজধানী ভুবনেশ্বর থেকে ১৮৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মুণ্ডগ্রাম। পাহাড়ি এলাকায় মাঝেমধ্যেই ইন্টারনেট পরিষেবা পেতে অসুবিধা হয়। তাই অনলাইন ক্লাস করার জন্য গ্রামের পাশে টিলায় উঠেছিল তিন কিশোর।
পুলিশ সূত্রে খবর, একই এলাকার বাসিন্দা তিন পড়ুয়া বাড়িতে জানিয়ে যায় অনলাইন ক্লাস আছে, তাই সামনের টিলার দিকে যাচ্ছে তারা। কিন্তু বুধবার বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হওয়ার পরেও তারা কেউ বাড়ি ফেরেনি। এর পর তাঁদের খোঁজ শুরু করে পরিবারের লোকজন। অবশেষে টিলার প্রান্তে গিয়ে খোঁজ মেলে তিন জনের। তখন তিন জনই অচৈতন্য হয়ে পড়ে ছিল। তাড়াতাড়ি তাদের নামিয়ে আনা হয় টিলা থেকে। নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে।
হাসপাতালে ভর্তি করানোর সময় এক জন বালকের শারীরিক অবস্থা ছিল সঙ্কটজনক। তবে বাকি দু’জনের জ্ঞান ফিরে এসেছিল। পরে তিন জনের শারীরিক পরিস্থিতি খারাপ হলে অন্য একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ওই পড়ুয়াদের নাম ধীরেন দিগল, পিঙ্কু মল্লিক এবং পঞ্চানন বেহারা। তাদের সবারই বয়স ১৭ বছর বলে জানিয়েছে পুলিশ। এসডিও তিরুপতি রাও পট্টনায়ক জানান, তিন পড়ুয়ার শারীরিক পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে। তাদের পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, প্রায়শই অনলাইন ক্লাসের জন্য টিলায় উঠত তিন জন। বুধবার তাদের কাছাকাছি বাজ পড়ে। তাতে তিন জন গুরুতর জখম হয়।