Pond Filling

চরিত্র বদলে ফেলে পুকুর ভরাটের চেষ্টা হাওড়ায়

অভিযোগ, ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের নথিতে সেই পুকুরের চরিত্রই বদলে বাস্তুজমি করে দেওয়া হয়েছে! তার পরে আস্তে আস্তে বুজিয়ে ফেলা হচ্ছিল প্রায় পাঁচ কাঠার সেই পুকুর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:৫৪
Share:

পুরসভার নথিতে পাঁচ কাঠা জমিটি জলাশয় বলেই চিহ্নিত রয়েছে। —প্রতীকী চিত্র।

পুরসভার নথিতে পাঁচ কাঠা জমিটি জলাশয় বলেই চিহ্নিত রয়েছে। অথচ ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের নথিতে সেই পুকুরের চরিত্রই বদলে বাস্তুজমি করে দেওয়া হয়েছে! তার পরে আস্তে আস্তে বুজিয়ে ফেলা হচ্ছিল প্রায় পাঁচ কাঠার সেই পুকুর। সম্প্রতি এমনই অভিযোগ উঠল মধ্য হাওড়ার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের মাধব ঘোষ লেনের বাদামপুকুর নিয়ে।

Advertisement

তবে খবর পেয়ে পুকুরটিকে আগের অবস্থায় ফেরাতে চাইছে হাওড়া পুরসভা। পুরসভা সূত্রের খবর, রীতিমতো ভুয়ো নথি ব্যবহার করে পুকুরের চরিত্র যে বদলে ফেলা হয়েছে, তা এক প্রকার নিশ্চিত। তাই কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পথে হাঁটছেন হাওড়া পুর কর্তৃপক্ষ। পুকুর ভরাট করা ওই অসাধু প্রোমোটিং চক্রকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করার সিদ্ধান্তও নিয়েছে পুরসভা।

এক সময়ে মধ্য হাওড়ার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের মাধব ঘোষ লেনের এই পুকুরটিতে সারা বছর জল থাকত। স্নান থেকে দৈনন্দিন কাজ— সবই হত সেখানে। পাশাপাশি, এলাকার বৃষ্টির জল ধরার প্রধান জলাধার ছিল পুকুরটি। সেই পাঁচ কাঠা আয়তনের পুকুরটির চার পাশ ক্রমাগত ভরাট করার ফলে বর্তমানে সেটির বেশির ভাগ অংশ বুজে গিয়েছিল। হাওড়া পুরসভার রেকর্ড অনুযায়ী ওই ঠিকানার জমিটি আদতে পুকুর বলে লেখা থাকলেও, ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের রেকর্ডে দেখা যাচ্ছে, ওই জমির চরিত্র বদলে তা বাস্তুজমি করে নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

হাওড়া পুরসভা সূত্রের খবর, পুকুরের পাশে থাকা একটি বাড়ি ভেঙে সম্প্রতি প্রোমোটিংয়ের কাজ শুরু হয়। আর সেই সুযোগেই একটু একটু করে বুজিয়ে ফেলা হয়েছে পাঁচ কাঠার পুকুরটি। শুধু তা-ই নয়, পুরসভার নিজস্ব রেকর্ডে পুকুরটি জলাশয় হিসাবে উল্লেখ থাকলেও ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের রেকর্ডে কোনও ভাবে তার চরিত্র বদলে বাস্তুজমি করে ফেলা
হয়েছে! সম্প্রতি ওই পুকুরটি বাঁচাতে পুরসভার দ্বারস্থ হন স্থানীয় ক্লাব কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসী। কারণ, মাধব ঘোষ লেনের বাসিন্দাদের দাবি, পুকুরটিকে বাঁচানো না গেলে
আগামী বর্ষায় গোটা এলাকা বানভাসি হয়ে পড়বে। এলাকার প্রাক্তন তৃণমূল পুরপ্রতিনিধি তথা মেয়র পারিষদ শ্যামল মিত্র বলেন, ‘‘পুকুরটি ভরাট করা রুখতে স্থানীয় ক্লাব এবং এলাকার বাসিন্দারা এককাট্টা। আমিও চাইছি, পুকুরটির ভরাট করা অংশ পুরসভা
খুঁড়ে ফের আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিক।’’

হাওড়া পুরসভার চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে দিনের পর দিন ধরে প্রকাশ্যে বেআইনি ভাবে পুকুর ভরাট করা হচ্ছিল। পুকুরটিকে বাঁচাতে এ বার কঠোর আইনি পদক্ষেপ করা হবে। অসাধু উপায়ে পুকুরের চরিত্র বদল করার
পিছনে কোনও পুরকর্মী জড়িত রয়েছেন কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement